আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মনোনয়নের পর গতকাল শুক্রবার আন্তোনিও গুতেরেস জাতিসংঘের মহাসচিব পদে পাঁচ বছরের দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য শপথ নিয়েছেন।
শপথ গ্রহণের পর আন্তোনিও গুয়েতেরেস সাধারণ পরিষদে বলেন, ‘ইতিহাসের এমন এক সংকটময় সময়ে কিংবা বলতে পারি একটি নতুন যুগের সূচনালগ্নে আপনারা আমার ওপর আস্থা রেখে যে গুরুদায়িত্ব অর্পণ করছেন, সে ব্যাপারে আমি সম্পূর্ণ অবগত আছি।’
গুতেরেস আরও বলেন, ‘আমরা আসলেই এক যুগসন্ধিক্ষণে রয়েছি। আমাদের সামনে চূড়ান্ত কোনো কিছু বেছে নেওয়ার সুযোগ নেই।’ জাতিসংঘের মহাসচিব সংকল্প ব্যক্ত করেন, নিঃস্বার্থভাবে তিনি সব সদস্যরাষ্ট্রের জন্য সমানভাবে কাজ করে যাবেন এবং রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে আস্থা স্থাপনের জন্য কাজ করবেন।
গুতেরেস বলেন, ‘আমি আশার সঞ্চারণ ঘটানোর চেষ্টা করব, যাতে করে আমরা পরিবর্তন আনতে পারি এবং অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলতে পারি।’ এর আগে গত ৮ জুন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ আন্তোনিও গুতেরেসের দ্বিতীয় মেয়াদের নিয়োগের অনুমোদন দেয়। পনেরো সদস্য-বিশিষ্ট নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, কারণ পাঁচটি স্থায়ী সদস্যরাষ্ট্রের যেকোনো একটি ভেটো দিয়ে এই মনোনয়ন নাকচ করে দিতে পারতো।
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্যরাষ্ট্র ২০২২ সাল থেকে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য আন্তোনিও গুতেরেসকে মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত করার জন্য সুপারিশ করেছে। বাহাত্তর বছর বয়সী আন্তোনিও গুতেরেস ২০১৭ সালে বান কি মুনের পর জাতিসংঘের মহাসচিব পদে নির্বাচিত হন। গুতেরেস ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এ ছাড়া তিনি ২০০৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
-এটি