আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ত্ব-হা ও তার সঙ্গীরা সাতদিন এই বাড়িতে থাকলেও আশপাশের কেউ জানত না বলে গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন ত্বো-হার বন্ধু সিয়ামের মা নিশাদ নাহার। তিনি বলেন, ‘ত্ব-হা এখানে এসে বলে, আমাকে দু’জন লোক ফলো করছে, আমরা এখানে কিছুদিন থাকব।
এর আগে আট দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন আলোচিত ইসলামি বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান। পুলিশ জানিয়েছে, ত্ব-হা ও তার সঙ্গীরা গাইবান্ধায় তার বন্ধু সিয়াম ইবনে শরীফের বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের পশ্চিম পেয়ারাপুর গ্রামে সেই বাড়িটি। সাতদিন তারা সেখানে আত্মগোপনে থাকেন। পরে শুক্রবার সকালে স্বেচ্ছায় তারা রংপুরে চলে যান।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে ত্বো-হার বন্ধু সিয়ামের মা নিশাদ নাহার আরও বলেন, ‘রংপুরে এসএসসি পর্যন্ত একসঙ্গে পড়ার কারণে আমার ছেলের সঙ্গে তার পরিচয়। এসএসসি পাশের পর তারা দু’জন দুই কলেজে পড়লেও একসঙ্গে চলাফেরা করত। তারপর ইউনিভার্সিটিতে পড়াকালীন দু'জন একসঙ্গেই চলত। এদিকে আমরা গাইবান্ধায় চলে আসি। এখানে আসার পর আমার ছেলের চাকরি হয়। চাকরি সূত্রে সে এখন রংপুরে থাকে। আর ত্ব-হা আমার বাসায় এর আগে অনেকবার এসেছে।’
চারদিকে তাদের নিয়ে তোলপাড়, তারপরও আপনারা কেন জানেননি, এমন প্রশ্নের জবাবে নিশাদ নাহার বলেন, আসলে এটা আমি ঠিকভাবে জানতে পারিনি কারণ আমার বাসার টিভিটা নষ্ট। আর আত্মীয়স্বজনরা আমাকে ফোনে বলেছে ওতো নিখোঁজ। তারাও বলেছে না জানাতে। আমার ছেলেরও নিষেধ ছিল। কিন্তু পরে আমি ত্ব-হাকে বলেছি, যেহেতু মিডিয়ায় তোমাদের নিয়ে লেখালেখি হচ্ছে, তোমরা কিন্তু এবার যেতে পার। তারপর তারা চলে গেছে।
গত ১০ জুন দিবাগত রাত থেকে কোনো খোঁজ মিলছিল না আবু ত্বহা, তার দুই সঙ্গী আব্দুল মুহিত, মোহাম্মদ ফিরোজ ও গাড়িচালক আমির উদ্দিনের। সেদিন বিকাল ৪টার দিকে ওই তিনজনসহ আবু ত্ব-হা রংপুর থেকে ভাড়া করা একটি গাড়িতে ঢাকার পথে রওনা দেন। রাতে মোবাইল ফোনে সর্বশেষ কথা হলে তিনি সাভারে যাচ্ছেন বলে তার মাকে জানান।
এরপর রাত ২টা ৩৬ মিনিটে প্রথম স্ত্রী হাবিবা নূরের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয় আদনানের। তিনি সাভার যাচ্ছেন বলেই জানান স্ত্রীকে। তারপর থেকেই তার ফোন বন্ধ থাকায় আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
রংপুরের আলোচিত বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান শুক্রবার দুপুরে তার শ্বশুরের বাসায় আসেন। পরে সেখান থেকে পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়। পরে বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে রংপুর পুলিশ।
এমডব্লিউ/