আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরকে আবার পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়ে বিবেচনা করছে দেশটির জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা দল (বিজেপি) শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার।
আজ শনিবার কাশ্মিরের স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এমন খবরই জানানো হয়।
এদিকে আগামী বৃহস্পতিবার কাশ্মির পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সরকারি এক সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের এই বৈঠকে শনিবার পর্যন্ত নয়টি দলকে অংশগ্রহণের জন্য ডাকা হয়েছে। মোট ১৬টি দল বৈঠকের আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে।
এদিকে শনিবার জম্মু ও কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও স্থানীয় পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিপি) সভানেত্রী মেহবুবা মুফতি জানান, বৈঠকের জন্য তারা আমন্ত্রণ পেয়েছেন। এতে যোগ দেয়ার বিষয়টিও বিবেচনা করছেন তারা।
গত ফেব্রুয়ারিতে লোকসভায় ‘জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধন) বিল’ পেশের সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, ‘যখন কাশ্মীর বিভক্ত করা হয়েছিল, তখন কোথাও লেখা ছিল না যে ভূস্বর্গ রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে না। সঠিক সময়ে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে জম্মু ও কাশ্মীরকে।’
এর পরই কাশ্মিরকে আলাদা রাজ্যের মর্যাদা দেয়ার বিষয়ে কথা উঠতে থাকে।
জম্মু ও কাশ্মিরের পূর্ব মর্যাদা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাশ্মিরের সাত রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকার ডিক্লারেশন (পিএজিডি) জোট বৃহস্পতিবারের বৈঠকে যোগ দেয়ার বিষয়ে আগ্রহ জানিয়েছে।
চলতি মাসে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা দিগ্বিজয় সিংহ পাকিস্তানের একটি সংবাদমাধ্যমকে জানান, আগামী নির্বাচনে কংগ্রেস যদি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে, অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে।
এরপর কংগ্রেসের সঙ্গে পাকিস্তানের গোপন আঁতাতের অভিযোগ তোলে বিজেপি। তবে জম্মু ও কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও স্থানীয় ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লাহ দিগ্বিজয়ের ওই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন।
২০১৯ সালের আগস্টে ভারতের কেন্দ্রীয় আইন পরিষদ লোকসভার এক অধিবেশনে কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা সংশ্লিষ্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করা হয় এবং জম্মু ও কাশ্মিরের স্বতন্ত্র রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়। ওই সময় পুরো উপত্যকাকে জম্মু-কাশ্মির ও লাদাখ নামে কেন্দ্রীয় শাসনের অধীন দুইটি পৃথক অঞ্চলে ভাগ করা হয়। সূত্র: এনডিটিভি
-এটি