সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৮ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
জামায়াতের সঙ্গে মতভিন্নতা আছে, শত্রুতা নয়: মাওলানা ফজলুর রহমান মসজিদে নববীর ইমামকে মালদ্বীপে লালগালিচা অভ্যর্থনা মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করলে আমাদের জীবন আলোকিত হবে : ধর্ম উপদেষ্টা বর্তমানে ‘উলূমুল হাদিস’-এর প্রয়োজনীয়তা বাংলাদেশের মতো সম্প্রীতি আশপাশের দেশে খুঁজে পাবেন না: ধর্ম উপদেষ্টা ‘গাজাবাসীর পাশে দাঁড়ানো উম্মাহর আবশ্যিক দায়িত্ব’ নারী কমিশনের প্রস্তাবে পতিত স্বৈরতন্ত্রের সুযোগ: গাজী আতাউর বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ভবনের স্বীকৃতি পেল মসজিদুল হারাম ‘সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নারী সমাজের জন্য চরম অবমাননাকর’ নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়: খেলাফত মজলিস

মহামারিতেও যুদ্ধ-সহিংসতায় বিশ্বজুড়ে বাস্তুচ্যুত ২৯ লাখ মানুষ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চলমান কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যেও সারাবিশ্বে থেমে নেই যুদ্ধ, সহিংসতা, নিপীড়ন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো বিষয়গুলো। এতে শুধু গত বছরই বিশ্বজুড়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ২৯ লাখেরও বেশি মানুষ। ফলে পৃথিবীতে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ২৪ লাখে। ২০১৯ সালেও যে সংখ্যা ছিল ৭ কোটি ৯৫ লাখ।

শুক্রবার এসব তথ্য উঠে এসেছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের বার্ষিক গ্লোবাল ট্রেন্ডস রিপোর্টে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বে এক বছরে বাস্তুচ্যুত মানুষ বেড়েছে ৪ শতাংশ।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাস্তুচ্যুতদের মধ্যে ৪২ শতংশের বয়স ১৮ বছরের নিচে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ভূমিষ্ঠ হওয়া ১০ লাখেরও বেশি শিশু জন্ম থেকেই শরণার্থী। এরা বড় হচ্ছে শরণার্থী শিবিরে। ফলে হুমকিতে রয়েছে শিশুদের ভবিষ্যৎ।

বাস্তুচ্যুতদের মধ্যে রয়েছে ইউএনএইচসিআর-এর অধীন ২ কোটি ৭ লাখ শরণার্থী। এদের মধ্যে ৫০ লাখ ৭০ হাজার রয়েছেন ফিলিস্তিনি এবং বিভিন্ন দেশে বাস্তুচ্যুত ৩৯ লাখ ভেনেজুয়েলান। এছাড়া নিজ দেশে গৃহহীন অবস্থায় রয়েছে আরও ৪ কোটি ৮০ লাখ মানুষ। ৪১ লাখ মানুষ আশ্রয় চাচ্ছেন বিভিন্ন দেশে। অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত হওয়া দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে সিরিয়া, আফগানিস্তান, সোমালিয়া ও ইয়েমেন।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেছেন, বাস্তুচ্যুত মানুষগুলো শুধুই সংখ্যা নয়। এদের প্রত্যেকেরই রয়েছে আলাদাভাবে গৃহহীন ও নিঃস্ব হওয়ার গল্প। মানবিক সাহায্যসহ বিশ্বব্যাপী শরণার্থী সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি।

ইউএনএইচসিআরের প্রতিবেদন বলছে, করোনা মহামারির প্রকোপ ঠেকাতে বিশ্বের ১৬০টিরও বেশি দেশ তাদের সীমান্ত বন্ধ রেখেছিল। এরমধ্যেও কিছু দেশ খোলা রেখেছিল তাদের সীমান্ত, আশ্রয় দিয়েছে বহু শরণার্থীকে।

সূত্র: এপি

এনটি


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ