রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের বিকল্প নেই: তারেক রহমান জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন শায়খ মাওলানা আবদুর রহীম ইসলামাবাদী কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন আগামীকাল মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর ইন্তেকালে চরমোনাই পীরের শোক প্রকাশ জমিয়ত সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী রহ.-এর বর্ণাঢ্য জীবন কওমি সনদকে কার্যকরী করতে ছাত্রদল ভূমিকা রাখবে: নাছির বড় ব্যবধানে জিতে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা আইফোনে ‘টাইপ টু সিরি’ ফিচার যেভাবে ব্যবহার করবেন  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা আল্লাহকে পেতে হলে রাসূলের অনুসরণ অপরিহার্য: কবি রুহুল আমিন খান

মসজিদে নববির চিত্রাকর্ষক আরবি ক্যালিগ্রাফি সৌন্দর্যের অনন্য নজির

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুফতি কাওসার আইয়ুব।। সৌদি আরব বিশ্বের মধ্যে ইসলামি যাদুঘরগুলির শীর্ষে থাকতে চায়। সৌদি আরবের এ সংকল্প ও অভিপ্রায় মসজিদে নববির ক্যালিগ্রাফির চাহিদাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। মসজিদে নববির এ দুর্লব ক্যালিগ্রাফির সৌন্দর্যে মুহিত হয় বিশ্বের মানুষ। এ আরবি ক্যালিগ্রাফির বিবর্তনই ঐতিহ্যের এ মহান প্রমাণ বহন করে আসছে।

এ প্রসঙ্গে একজন সৌদি বিশেষজ্ঞ বলেন, মসজিদে নববির দেয়ালের নকশাগুলি ১২৫৫ হিজরি থেকে ১২৭৭ হিজরির মধ্যবর্তী সময়ের স্থপতিদের আগ্রহের প্রতি নির্দেশ করে। তাদের নিত্যনতুন কাজগুলো দর্শনার্থীদের আগ্রহ আরো প্রবল করে দিয়েছিলো।

এ সমস্ত ক্যালিগ্রাফীগুলো বৈজ্ঞানিকভাবেও পরীক্ষিত। আজ এ অমূল্য সম্পদ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে ঐতিহ্যের প্রমাণ হিসেবে। কিছু কিছু নকশা খলিফা ও শাসকদের সময়ে করা হলেও বর্তমান কালের আধুনিক তৈরিকেও হার মানায়। অত্যাধুনিক ডিজাইনগুলো ধারণাই করা যায় না যে বহু বছর আগে করা হয়েছে।

সৌদি বিশেষজ্ঞের মতে, মসজিদে নববীর কিছু নকশা এখানকার ইতিহাসের অনেক জায়গার কথা বলে দেয়। যেমন হুজরা শরিফ এবং রওজা মুবারকের ভেতর কিছু সুতুন যার মধ্যে সুতুনে আয়শা, সুতুনে সারির, সুতুনে সাহাবা, সুতুনে আম ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত।

প্রযুক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে, গম্বুজ ও দেওয়ালের ক্ষেত্রে এ অঙ্কনগুলি এমন ব্যক্তিত্বদের দ্বারা তৈরি হয়েছিল যারা সম্পূর্ণরূপে কুরআন রচনায় নিবেদিত ছিল। তারা তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলো এ কাজে।

এ প্রসঙ্গে সৌদি বিশেষজ্ঞ বলেন, এ ক্যালিগ্রাফিগুলি তৈরির পর আজ দেড় শতাব্দী পাড় হয়ে গিয়েছে, তবুও এ অঙ্কনগুলোর দিকে তাকালে মনে হয় এগুলি সবেমাত্র লেখা হয়েছে। এ থেকে ধারণা করা যায়, খাদেমুল হারামাইন শরিফাইন অর্থাৎ সৌদি সরকার এ ঐতিহাসিক সম্পত্তিকে অনেক বেশি রক্ষণাবেক্ষণ করেছেন ও এতে অনেক বেশি যত্নশীল হয়েছেন।

অদূর ভবিষ্যতে মসজিদে নববীর নকশাগুলি চিত্রশিল্পের এক অনন্য নজির হিসেবে ইতিহাস হয়ে থাকবে। সূ্ত্র: আল আরাবিয়া

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ