আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত ইরানের পরমাণু সমঝোতায় ফিরতে হলে আমেরিকাকে তেহরানের ওপর আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা আগে প্রত্যাহার করতে হবে।
অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় যখন পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের ধারাবাহিক সংলাপ চলছে তখন এ মন্তব্য করেন ওয়াং ই।
শুক্রবার জেনেভায় নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক এক বৈঠকে বক্তব্য দিতে গিয়ে চীনা স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, “পরমাণু সমঝোতায় ফেরার জন্য প্রথমে স্বাভাবিকভাবে যে কাজটি করতে হবে তা হচ্ছে ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার।”
তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আহ্বান জানান এবং ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ব্যাপারে আমেরিকার দাম্ভিক আচরণের তীব্র সমালোচনা করেন।
ওয়াং ই বলেন, ইরান ও আমেরিকার পরমাণু সমঝোতায় পুরোপুরি ফিরে আসার আলোচনা যদিও চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়েছে তারপরও সবগুলো পক্ষ যত তাড়াতাড়ি প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিষয়টির সমাধান করে ফেলে ততই মঙ্গল।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইরানের পরমাণু সমঝোতা ছিল বহুপক্ষীয় কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফসল, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার অন্যতম হাতিয়ার।
২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতাকে আবার আগের অবস্থায় সক্রিয় করার জন্য অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় গত এপ্রিল মাস থেকে ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের সংলাপ চলছে।
‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতি অনুসরণ করে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালের মে মাসে পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকাকে বের করে নেন। এরপর এক বছর পর্যন্ত ইরান এই সমঝোতা বাস্তবায়নে সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল কিন্তু অন্য পক্ষগুলো সমঝোতা বাস্তবায়ন না করায় ৩৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে ইরান সমঝোতার বেশকিছু ধারা বাস্তবায়ন স্থগিত করে দেয়।
-এএ