আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভিড়ের মধ্যে প্রকাশ্যে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে চড় মারা দামিয়ান তাহেলকে ১৮ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। তারমধ্যে ১৪ মাসের সাজা স্থগিত এবং চার মাসের সাজা এখনই ভোগ করতে হবে।
তাহেল আদালতকে বলেছেন, হঠাৎ আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে তিনি ওই কাজ করে বসেছেন। কিন্তু প্রসিকিউটর বলেন, ওটা ‘ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটানো নৃশংস’ কর্মকাণ্ড ছিল।
আদালতের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, তাহেল ডানপন্থি অথবা চরম ডানপন্থি রাজনীতির নিয়মিত খোঁজ খবর রাখেন এবং ‘ইয়ালো ভেস্ট’ আন্দোলনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ।
এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ বলেন, এই হামলাকে তুচ্ছ ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা উচিত হবে না। কিন্তু অতিরঞ্জিত না করে বরং একে সাধারণ ঘটনা হিসেবেই বিবেচনা করা উচিত।
কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে আরোপ করা নানা বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর কিভাবে মানুষ আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে তা নিয়ে কথা বলার জন্য ম্যাক্রোঁ গত মঙ্গলবার দক্ষিণপূর্ব ফ্রান্সের দ্রোম অঞ্চল সফরে গিয়েছিলেন।
সেখানে ধাতব বেড়ার অপর পাশে থাকা সমর্থকদের সঙ্গে হাত বাড়িয়ে করমর্দন করতে গেলে ভিড়ের মধ্যে সামনের দিকে দাঁড়িয়ে থাকা তাহেল ‘‘ডাউন উইথ ম্যাক্রোঁনিয়া’ বলে চিৎকার করে ম্যাক্রোঁর গালে চড় মারেন।
এ ঘটনায় ফ্রান্সের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একে অন্যের প্রতি ঘৃণার মনভাব নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। আগামী বছর ফ্রান্সে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।
বিবিসি জানায়, একজন সরকারি কর্মকর্তার উপর হামলার অপরাধে প্রসিকিউসন আদালতের কাছে তাহেলকে ১৮ মাসের কারাদণ্ড দেওয়ার আবেদন জানায়। তিন বিচারকও তাহেলকে ১৮ মাসের কারাদণ্ড দেয়ার বিষয়ে একমত হন।
ওই ১৮ মাসের মধ্যে ১৪ মাসের দণ্ড স্থগিত থাকবে। যদি তিনি ভবিষ্যতে কোনো অপরাধ করেন তবে ওই আদেশ কার্যকর হবে। আর এখনই তাকে বাকি চার মাসের কারাভোগ করতে হবে।
ম্যাক্রোঁকে চড় মারার ঘটনায় পুলিশ আরো এক ব্যক্তিকে আটক করে। গ্রেপ্তার দ্বিতীয় ব্যক্তি ম্যাক্রোঁকে চড় মারার ঘটনার ভিডিও করেছেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তার বিরুদ্ধ বেআইনী অস্ত্র রাখার অভিযোগ এনেছেন।
এনটি