আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনের ইসলামবিদ্বেষী আচরণ আবারো প্রকাশ্যে এল। দেশটির সংখ্যালঘু উইগুর সম্প্রদায় নিয়ে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের নতুন এক প্রতিবেদনে এই তথ্যে উঠে এসেছে। এতে অভিযোগ করা হয়, চীন ইসলামকে মুছে ফেলতে চাইছে। ১৬০ পাতার ওই প্রতিবেদেনের শিরোনাম, ‘আমরা যেন যুদ্ধে শত্রুপক্ষ’।
অ্যামনেস্টি ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে গত মে পর্যন্ত এ গবেষণা পরিচালনা করেছে। তারা ১২৮ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। তার মধ্যে ৫৫ জন চীনের উইগুর শিবিরে ছিলেন। আর ৬৮ জন সেই সব পরিবারের সদস্য, যাদের কেউ হারিয়ে গেছেন বা আটক করা হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
প্রতিবেদন বলছে, শিনজিয়াং-এ ১০ লাখের বেশি মানুষকে শিবিরে পাঠানো হয়েছে। মুসলিমদের ভয় দেখানোর জন্য চীন তাদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্থানগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। প্রচুর সাক্ষী অ্যামনেস্টিকে বলেছেন, চীন ইসলামকেই মুছে ফেলতে চায়।
সাক্ষাৎকারদাতাদের অনেকেই বলেছেন, তারা চীনে নিজেদের ধর্মাচরণ করতে ভয় পাচ্ছেন। জানেন যে, রাষ্ট্র তাদের ওপর নজর রাখছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কোনও রকম সতর্কতা ছাড়াই উইগুরদের মাঝরাতে বাড়ি থেকে তুলে শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের তথাকথিত শিক্ষা-শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং জোর করে নিজেদের অপরাধের কথা স্বীকার করানো হয়। তারপর তাদের মধ্যে কিছু মানুষকে শিবিরে রাখা হয়, কারণ দেখানো হয়— তারা সন্ত্রাসবাদী এবং বিশ্বাসযোগ্য নয়।
যাদের শিবিরে আটকে রাখা হয়েছিল, তাদের কয়েকজন মানবাধিকার সংস্থাটিকে বলেছেন, শিবিরের অবস্থা চীনের কারাগারের থেকেও খারাপ। তাদের সংশোধন-ক্লাসে যেতে হয়। তার আগে সারা দিন তাদের বসিয়ে রাখা হয়। শিবিরের ক্লাসে তাদের ইসলামের ‘খারাপ’ দিকগুলো বাধ্যতামূলকভাবে শিখতে হয়।
এনটি