জুলফিকার জাহিদ।।
আসক্তি আর নানা রকম ক্ষতির কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে পাবজি ও ফ্রি ফায়ার গেম দু’টি। এরইমধ্যে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে এ গেমগুলোর প্রতি আসক্তি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বন্ধ করতে সুপারিশ করেছে শিক্ষা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
দুই মন্ত্রণালয় থেকে এমন সুপারিশ পেয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কিশোর-কিশোরী ও তরুণদের মধ্যে আসক্তি তৈরি করা এই গেম হঠাৎ করে বন্ধ করতে গেলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হতে পারে, তাই ধীরে সুস্থে বিকল্প পদ্ধতিতে গেম দুটি বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হবে। এদিকে তরুণ ও কিশোরদের মাঝে আসক্তি তৈরিকারী এ গেম দু’টি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন দেশের আলেমগণ।
জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক শায়খ আহমদুল্লাহ আওয়ার ইসলামকে এক বার্তায় জানান, দীর্ঘ দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এবং অনলাইন ক্লাসের সুবাদে শিক্ষার্থীরা ফ্রি ফায়ার ও পাবজির মতো তারুণ্য বিধ্বংসী নেশায় বুদ হয়ে যাচ্ছিল এমন পরিস্থিতিতে এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়।
তিনি আরো বলেন, গণ আকাঙ্খা পূরণ করায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এ ধরণের আরো যেসব গেমস এবং সমাজ বিধ্বংসী এপস ইত্যাদি আছে সেগুলো দ্রুত বন্ধের উদ্যোগ না নিলে যুব সমাজকে নৈতিক স্খলন ও ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা যাবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি সুপারিশের দ্রুত বাস্তবায়ন কামনা করেন।
রাজধানীর পল্লবীর মসজিদুল জুমা কমপ্লেক্সের খতিব মাওলানা আবদুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহও শিক্ষা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, আত্মবিধ্বংসী এই গেমসগুলোতে তরুণ প্রজন্মের আসক্তি ও এর ক্ষতি নিয়ে আলাদা করে বলার কিছু নেই। তবে এই সিদ্ধান্তের যথাযথ প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন চান জনপ্রিয় এই খতিব।
গেম দু’টি দেশে বন্ধ করলেও ও তরুণরা ভিপিএন দিয়ে গেমটি খেলবে এমন প্রশ্নে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হ্যা, যারা এ ধরনের গেমে আসক্ত তারা ভিপিএনসহ নানা বিকল্প উপায়ে গেমটি খেলতে পারে। আমরা সেসবও বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার চেষ্টা করব।
করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সম্প্রতি গেম দুটিতে মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি বেড়েছে শিক্ষার্থীদের এমন মন্তব্য করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গেম দুটির ব্যাপারে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
-এটি