।।শায়খ আহমাদুল্লাহ।।
বদলে যাচ্ছে আবহাওয়ার চিরচেনা চরিত্র। গরমের তীব্রতায় পুড়ছে দেশ। সর্বত্র মরুভূমির গরম অনুভব হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় পুকুরগুলো শুকিয়ে গেছে। চাপকলে পানি নাই। জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৃক্ষ নিধনসহ আমাদেরই হাতের কামাইয়ের পরিণতি প্রত্যক্ষ করছি আমরা। কেয়ামতের নিকটবর্তীতারও একটি নিদর্শন এটি।
গরমে সুস্থ থাকতে বেশি করে পানি ও শরবত পান করুন। সামনের বর্ষায় প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করুন। আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন এ বছর সারা দেশে রেকর্ড সংখ্যক বৃক্ষ রোপনের পরিকল্পনা করছে ইন শা আল্লাহ। অক্সিজেন ও পানি শোষনকারী গাছ- ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি দিয়ে পুরোদমে বনায়ন হয়ে গেছে এবং দেদারসে বনায়ন বেড়েই চলছে এই জাতের! এ বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। প্রশাসনকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানাচ্ছি।
সেই সাথে সবার গণ ইস্তেগফার করা উচিত। ইমাম খতিবগন বৃষ্টিপ্রার্থনার সালাত (ইস্তেস্কার নামাজ) আয়োজন করা সময়ের দাবি।
গ্রীষ্মের গরম জাহান্নামের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। বুখারীর বর্ণনা মতে গরমের তীব্রতা জাহান্নামের ভাপ। ভাপ যদি এত অসহনীয় হয় তবে জাহান্নামের উত্তাপ কত ভয়াবহ হতে পারে? আসুন, জাহান্নাম থেকে পানাহ চাই। আল্লাহুম্মা আজির না মিনান্নার। অর্থ: হে আল্লাহ, আমাদের জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করুন। (লেখকের ফেসবুক থেকে সংগৃহিত)
-কেএল