মুহাম্মদ উসামা হাবীব।।
বাংলাদেশ নামক ছোট্ট ভূখন্ডটিতে নিকট অতীতে যে’কটি হীরক-রত্ন জন্মেছিল আর আলোর বিভায় আলোকিত করেছে বিশ্ব মঞ্চ। তারই একটি নাম সৈয়দ আলী আশরাফ। একাধারে তিনি ছিলেন বহুভাষাবিদ, বৈশ্বিক শিক্ষক, শিক্ষাবিদ, কবি, সাহিত্যিক, সাহিত্য সমালোচক, সোম্যকান্তিময় সর্বগ্রহনীয় বুযুর্গ, একাধারে আরব-আযমের পাঁচজন পীরের খেলাফত প্রাপ্ত।
তার কিছু জিবন বিন্দু এখানে উপন্থাপন করছি।
মেধার একঝলক
প্রখ্যাত ভাষাসৈনিক,সাংবাদিক,অধ্যাপক আব্দুল গফুর তার আত্মজীবনী "আমার কালের কথায়"স্মৃতিচারণ করেন\ ........এমনই এক অনুষ্ঠানে ১৯৪৫ কি ৪৬ সালে এসেছিলাম মুসলিম হলে। ডায়াস থেকে এক্সট্রা কারিকুলাম কার্যক্রমের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেসব ছাত্র ১ম,২য়,৩য় স্থান অধিকার করেন তাদের নাম ঘোষণা করা হচ্ছিল ৷এই পুরুষ্কার বিতরণকারে একটা বিষয়ে অবাক হয়ে যাই৷ অবাক হওয়ার মতো ব্যাপার বটে! বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্র প্রতিটি বিষয়েই প্রথম স্থান অধিকার করেন।
বাংলা রচনা, বাংলা ডিবেট, বাংলা বক্তৃতা ,বাংলা উপস্থিত বক্তৃতা, ইংরেজি রচনা, ইংরেজি ডিবেট বক্তৃতা, ইংরেজি উপস্থিত বক্তৃতা, সব প্রতিযোগিতায় যদি একজন প্রতিযোগী প্রথম স্থান অধিকার করেন তা চমকে দেয়ার ব্যাপরই বটে। শুধু তাই নয় সর্বাধিক বিষয়ে প্রথম স্থান অধিকারের জন্য একটি বিশেষ পুরুষ্কারও লাভ করেন তিনি। এই মেধাবী কৃতী ছাত্র আর কেউ নন তিনি ছিলেন সৈয়দ আলী আশরাফ।
তিনি বাংলা ইংরেজি,উর্দু, ফার্সী, সংস্কৃতি এমনকি আরবী ভাষায়ও পারদর্শী ছিলেন। ১৯৪৫ সালে তিনি ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্সে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান দখল করেন। ১৯৪৬ সালে তিনি একই বিষয়ে কৃত্বিত্যের সাথে পাশ করেন। পরবর্তীতে ১৯৫২ সালে ক্যামব্রীজ থেকে ইংরেজিতে বি এ পাশ করেন এবং ১৯৬৪ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন।
তিনি কর্মজিবনের একটি দীর্ঘ সময়ে ঢাকা, রাজশাহী, ক্যামব্রীজ, হার্ভার্ড নিউ ব্রাঞ্চ উইক (কানাডা) কিং আব্দুল আজীজ এর মত বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের স্বনামধন্য অধ্যাপক ছিলেন।
তার এই প্রখর মেধা কখনো নিষ্প্রভ হয়নি। তা কজে লাগিয়েছেন সত্য ও সুন্দরের প্রতি। শিক্ষকতার মহান পেশায়। তিনি ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত মাঝে কিছু সময় বাদ দিয়ে মোট একান্ন বছর বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক ভার্সিটিতে অধ্যাপনা করেন । টিচিংয়ের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন সাবলীল সপ্রতিভ,ছাত্রদের প্রিয়ভাজন।
একবার কোন কারণে মক্কা উম্মুল কুরা ভার্সিটিতে গেলে জানতে পারলেন ইংলিশ ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান তার ছাত্র। তখন সেখানে যেতে চাইলে চেয়ারম্যান সাথে সাথে চেয়ার ছেড়ে ছুটে আসেন। এই বলে স্বাগত জানালেন আসসালামু আলাইকুম হাউ আর ইউ স্যার প্লিজ হ্যাব ইউর সীট স্যার দিসিস চেয়ার ফর ইউ।
কতভাবেই না বসার জন্য অনুরোধ করলেন কিন্তুু কি অমায়িকতা তিনি তাতে বসতে রাজি হলেন না । ছাত্ররা তার ক্লাসের জন্য থাকতো অধীর, উন্মুখ ।
শেষ লগ্নের মুজাদ্দিদ। চেয়েছিলেন শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক সংস্কার।
ধর্মবিহীন শিক্ষাব্যবস্থার কুপ্রভাব আজ সর্বস্বীকৃত । তিনি সারা জিবন চেষ্টা করেছেন জেনারেল শিক্ষাকে ইসলামাইজেসন করতে। এজন্য তিনি ইউরোপ-এশিয়া চষে বেড়িয়েছেন। বিশ্ব মঞ্চে দাঁড়িয়ে এর প্রয়োজনিয়তা বারবার ব্যাখ্যা করেছেন। এই চিন্তাকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালে তৎকালীন সৌদী বাদশা আব্দুল আজীজকে চিঠি দেন। পরবর্তীতে তিনিই প্রথম মুসলিম বিশ্বের শিক্ষাবিদদের নিয়ে ১৯৭৭ সালে বিশ্ব মুসলিম শিক্ষা সম্মেলনের আয়োজন করেন। ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত এ ধরনের পাঁচটি সম্মেলন বাস্তবায়ন করেন। তিনি ছিলেন এর প্রধান উদোক্তা ও সচিব।
এ লক্ষ্যে জিবনের শেষ লগ্নে প্রতিষ্ঠা করেন দেশের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘দারুল ইহসান’ যা ছিল তার দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নেৱ প্রথম পদক্ষেপ ।
সকলের নিকট সমাদৃত সফল সংগঠক
তার ব্যক্তিত্য ছিল প্রবল আকর্ষনীয়, ব্যাপক মান্যতা। ১৯৪৩ সালে তৎকালিন সময়ে স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রভাবশালী সংগঠন পূর্ব-পাকিস্তান সাহিত্য সংসদের তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। এক অধীনে তিনি বিভিন্ন কর্মতৎপরতা চালান। পরবর্তীতে শিক্ষকতার পেশায় এসে ইত্যাকার বিষয় থেকে গুটিয়ে নিলেও ক্যামব্রীজ ইসলামিক একাডেমি, ওআইসি ওয়ার্ল্ড সেন্টার ফর ইসলামিক এডুকেশন, রাবেতা আলম আল ইসলামির শিক্ষা বিষয়ক প্রজেক্ট ……(ইংরেজি অধ্যাপকদের সংগঠন),…… (লেখকদের আর্ন্তজাতিক সংগঠন ) …… (আর্ন্তজাতিক আধুনিক ভাষা ও সাহিত্য সংগঠন )এর সাথে যুক্ত থাকার কারণে বিভিন্ন সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন ও প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন। এছাড়াও বাংলা একাডেমি, লিবার্টি ফোরাম ইত্যকার দেশিয় প্রতিষ্ঠানের সাথেও যুক্ত ছিলেন।
তিনি ছিলেন সকলের নিকট সমাদৃত। একবার এক অনুষ্ঠানে রাবেতার মহাসচিব বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. আব্দুল্লাহ উমর নাসিফ বলেন, প্রফেসর সৈয়দ আলী আশরাফ তিনি বিশ বছর যাবৎ আমাদের মাঝে পরিচিত ব্যক্তিত্ব্য। শিক্ষা ক্ষেত্রে তার বিশেষ অভিজ্ঞতা ও দর্শন রয়েছে। আজ আমরা তা কাজে লাগিয়ে উপকৃত হতে চাই।
একজন মননশীল কবি পরিচ্ছন্ন সাহিত্যিক
সৈয়দ আশরাফ ছিলেন সংস্কৃতিবান কবি এবং প্রবন্ধকার। তার অধিকাংশ কবিতাই ছিল আত্মকেন্দ্রিক। সময়ের মান-অভিমান আচার-আচরণে মনের প্রেরণা থেকে কবিতা লিখতেন। তিনি নিজেই বলেন কাব্য রচনা করছি নিজেকে জানার জন্য। ভাষার মারপ্যাচ দেখাবার জন্য নয়। তার কবিতায় ফুটে উঠতো ঐশী প্রেম, সারাংশে মদিনার প্রতি ভালোবাসা।
তার কব্য সম্পর্কে কলম ধরেছেন কবি আল-মাহমুদ, আল-মুজাহেদী, জাতীয় অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসান প্রভৃতি শক্তিমান কবিগণ।
প্রবন্ধ রচনার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন সহজ-সাবলীল প্রাকৃতিক সহজাত৷ বিষয়টিকেই প্রমাণ করতে চাইতেন । সাহিত্যাঙ্গগনে তার পরিচিতি সেই ৪০এর দশকে ছাত্র জিবনে। প্রথম বই প্রকাশ হয় ১৯৫৭ সালে । কাব্যগ্রন্থ "চৈত্র যখন"। কবিতা, গদ্য, প্রবন্ধ, অনুবাদ, সম্পাদনা বাংলা ও ইংরেজিতে প্রকাশিত সর্বমোট রচনার সংখ্যা ৩৫টিরও বেশি।
তার একটি কবিতার অংশবিশেষ..
তাই আজ সময়ের বাঁধ
ভেঙ্গে চুরে চুরমার হল
তাই আজ স্মৃতির গোলাপ
স্বপ্নের কমলে মিশে গেল,
তাই তার গাঢ় নীল চোখে
কেয়ামৎ প্রতিভাব হল;
এক হল-শান্তি-দীপ্ত সৃজন আলোক
আর সুপ্ত-অন্ধকার বিধ্বস্থ দ্যুলোক।
আধ্যাতিকতা.তরঙ্গায়িত দরিয়ার দক্ষ নাবিক।
সৈয়দ আলী আশরাফ পার্থিব শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন কিন্তু পার্থিব শিক্ষার চেয়েও বহুগুণে এগিয়ে ছিলেন আধ্যাতিক দীক্ষায়। এটা ছিল তার স্বভাবজাত, কেননা তিনি ছিলেন ঐতিহ্যবাহী এক পীর বংশের সন্তান। সর্বপ্রথম ১৯৪৬ সালে তার নানার খলিফা হযরত গোলাম মুক্তাদির রহ. এর কাছে বায়াত হন। তিনি ছিলেন তার একমাত্র মুরিদ প্রথম মুরাকাবায় যার সব মাকাম জারি হয়ে যায়।
১৯৫৯ সারে তার থেকে খেলাফত লাভ করেন৷ হযরত গোলাম মুক্তাদির (রহঃ) এর মৃত্যুর পর করাচির জহীন শাহ তাজীর হাতে বায়াত গ্রহণ করেন এবং তারপর তিনি তাআল্লুক করেন ফুরফ’রা ও জৈনপুর দরবারের খলিফা নোয়াখালির ড. বদিউজ্জামান রহ. এর সাথে ।তার থেকেও বায়াতের ইযাযত লাভ করেন। তার ইন্তেকালের পর আধ্যাতিক সম্পর্ক গড়েন হাফেজ বজলুর রহমান রহ. এর সাথে এবং খেলাফত লাভে ধন্য হন।
এছাড়াও তিনি হারামে মদিনার প্র্যখ্যাত বৃুযুর্গ মনজুর হোসেন সিন্ধি ও হারামে মক্কিতে ড. মোহাম্মদ আলাভী আল মালেকী থেকেও ইযাযত লাভ করেন। দারুল ইহসানের সহকারী অধ্যাপক হেলাল আহমদ কবীর বলেন, ১৯৯৮ সালে মক্কায় আব্দুল মজিদ নামের এক বিখ্যাত বুযুর্গ ছিলেন ৷ স্যার আমার মাধ্যমে উক্ত বুযুর্গের সাথে আধ্যাতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেন। শায়েখ আব্দুল মাজিদের মৃত্যুর কয়েকদিন পর আমাকে একটি স্বপ্নের কথা বলেন, আজ ফজর বাদ মুরাকাবা অবস্থায় আমি দেখলাম শায়েখ আব্দুল মাজিদ আমার কাছে এসে বলতে লাগলেন আমি জিবিত অবস্থায় তো কাউকে খেলাফত দিয়ে যাইনি তাই আমি এ দায়িত্ব আপনার উপর ন্যাস্ত করলাম। অন্যদিকে শায়েখ আব্দুল মজিদের মুরিদ ছিলেন ইন্ডিয়ান এক দম্পতি।
এ দম্পতির মহিলাটি একদিন স্বপ্নে দেখলেন শায়েখ আব্দুল মজিদ তার কাছে এসে বললেন আমি বাংলাদেশের সৈয়দ আলী আশরাফকে খেলাফত দিয়েছি৷ এখন থেকে তোমরা দু’জন তার থেকেই তালীম নেবে এবং স্বপ্নেই দেখিয়ে দিলেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশী ছাত্র এহসান উল্লাহর মাধ্যমে স্যারের সাথে যোগাযোগ হলে সে বলে উঠল স্বপ্নে আমি যে লোক দেখেছি সে লোক ইনিই। এ বলে ভিষণ কান্নাকাটি জুড়ে দিল।
এভাবে তিনি অনেক বুযুর্গানে দ্বীনের খেলাফত লাভের সোভাগ্য লাভ করেন।
রাতে তিনি খুব সামান্যই ঘুমুতেন, কিছুক্ষণ বিশ্রাম করে রাতের তৃতীয়ভাগে উঠে যেতেন এর পর ফজর পর্যন্ত তাহাজ্জুদ, জিকির, তেলওয়াতে মগ্ন থাকতেন। তার ভাতিজা সৈয়দ আলী রুম্মান বলেন, একবার শবে-কদরে তাহাজ্জুদের সময় মুরাকাবায় বসার পূর্বে আমাকে বললেন রোযার শেষ দশটি রাত না ঘুমানোই ভালো। একবার আমি ক্বদরের রাতে তাহাজ্জুদ নামাজের পর বিছানায় হেলান দিয়ে বসে আছি হঠাৎ একটু তন্দ্রাভাব হল, ঐ মুহুর্তে দেখি দুইজন ফেরেশতা একজন আমার মাথার কাছে আরেকজন পায়ের কাছে দাঁড়িয়ে বলছেন, ‘দেব নাকি এক দরজা কমিয়ে!’ আমি ধরমর করে বিছানায় উঠে বসলাম তিনি ছিলেন মুস্তাজাবুত দাওয়াত, সাহেবে নিসবত৷ তার জিবন অধ্যয়ন করে আমার মনে হয়েছে এদিকটিই ছিল তার জীবনের ভরা বসন্ত।
এর আলোকেই তিনি ছিলেন অর্হনিশি কর্মমুখর। দেশে ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্য, ব্রিটেন, কানাডা, ওয়েস্টিন্ডিজ, সাউথ আফ্রিকা ও আমেরিকাসহ বহু দেশে তার অনেক মুরিদ রয়েছে বিশেষত তিনি ইউরোপের দেশগুলোতে কাজ করেছেন। জামাতে মদিনা নামক একটি সংগঠনের অধীনে তিনি তাসাউফের প্রোগ্রামগুরো বাস্তবায়ন করতেন। তিনি ছিলেন এর আজীবন আমীর।
ঐশী আখলাকের বিরল উপমা
মানব-কল্যান ও অনুপম চরিত্রের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন তুলনাহীন সকলের সাথে সদা হাস্যমুখি সংযমী,সল্পভাষী,উদার,অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল। জৈনক সহকর্মী বলেন ,আমাদের মা’হাদের কোন কোন কর্মচারী এমনও আচরণ করেছে যাতে তাদের চাকরি থাকার কথা নয়৷ মরহুম ভিসি স্যার তাদের সংশোধনে সুযোগ দিতেন । সর্বদা খেয়াল রাখতেন তিনি যেন কারও রিযিকের পথ রুদ্ধের কারণ না় হন।তিনি বলতেন আল্লাহ যাদের রিযিকের পথ খুলে দিয়েছেন আমি কেন সেই পথ রুদ্ধ করে পাপের অংশীদার হবো।
তিনি ছিলেন নিঃসন্তান, কিন্তু পরিবারের প্রতি ছিলেন পূর্ণ যত্নশীল। শেষ জিবনে স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পরলে অত্যন্ত ধৈর্যের সাথে সেবা করে যান। একবার কথা প্রসঙ্গে বলেন, দেখ! তোমার চাচীর দীর্ঘদিন অসুস্থতায় আল্লাহ আমাকে পরীক্ষা করছেন। এ অবস্থায় আমি কি ধৈর্য্যশীল নাকি বিরক্ত বোধ করছি৷ দানশীলতার ক্ষেত্রে ছিলেন উদার হস্ত৷ শেষ জিবনে সমুদয় সম্পত্তি আশরাফ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে ওয়াক্ফ করে যান। সকলের কল্যান কামনায় ছিলেন সদা প্রস্তুত। ১৯৯৬ সালে যখন দেশে এক ধরনের দুর্বত্তায়ন চলছিল তিনি সবগুলো রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বুদ্ধিজিবী মহল এমনকি প্রেসিডেন্টের সাথে একাধিকবার মতবিনিময় করেন। কিছু একটা করার জন্য অনুরোধ জানান।
ঘরের ছোট ছোট কাজগুলো নিজে করতেন৷ জুনিয়রদের মুল্যায়ন করতেন। সবার প্রতি ছিলেন স্নেহশীল। বন্ধ হয়ে গেল আলোর ফুয়ারা।
৭ আগস্ট ১৯৯৮ ক্যামব্রিজস্থ নিজ বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় ইহধাম ত্যাগ করেন। আর জন্মেছিলেন ৩০ জানুয়ারি ১৯২৪ ঢাকার নবাবগঞ্জ থানার আগলা গ্রামে। বাবা সৈয়দ আলী হমেদ নাম রেখেছিলেন সৈয়দ আবু নসর আলী আশরাফ। আল্লাহ তার কবরকে রহমতের বারিধারায় প্লাবিত করুণ। আমীন।
তথ্য : সৈয়দ আলী আশরাফ স্বারকগ্রন্থ "বরেণ্য"৷
-এএ