মাওলানা আবদুল হাই মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ
ইদানিং দুটি ছবি নেটে ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে। যেখানে উঠে এসেছে- দিল্লিতে গতবছর ঘটে যাওয়া চরম উগ্রতা, মাসজিদে আগুনদেয়া আর এবছর সেই মাসজিদেই চরম করোনা পরিস্থিতিতে হিন্দু মুসলিম সবার জন্য অস্থায়ী করোনা আইসোলেশন সেন্টার হিসাবে ব্যবহারের উপযুক্ত করা হচ্ছে।
এই ঘটনায় ইসলামের মহাত্য আর মাসজিদের বড়ত্ব তুলে ধরার আপাত দরকার নেই, বরং আরো একধাপ এগিয়ে মানুষের শিক্ষা নেয়া উচিৎ এক আল্লাহর সৃষ্টিজীব হিসেবে আমরা কেউ কারো উপর জোদ্দারী আর যুলুম করার অধিকার রাখি না। গতবছর যে আকাশ- সহিংসতা, আগুন, ক্রন্দন আর ধোঁয়ায় আচ্ছাদিত হয়েছিল আজ একই আকাশ চিতার আগুনের ধোঁয়া আর মানুষের স্বজন হারাবার আহাজারিতে ভার হয়ে উঠেছে!
মানুষ হিসেবে আমাদের সতর্ক আর দায়িত্বশীল মানবিক আচরনের আজীবন পাঠ গ্রহনের দীক্ষা আছে এই কঠিন পরিস্থিতিতে।
অনেকে আবার ভারতের ঘটনাকে রিভেঞ্জ ভেবে খুব তৃপ্ত হয়ে খুশিভরা বয়ান দিচ্ছেন! খবরদার! অপরের ব্যাথা-বেদনা নিয়ে নিজে খুশি হওয়া আর বিচারিক দায়িত্ব আল্লাহর থেকে নিয়ে অনুমানে - ওটা করেছিল বলে এটা হচ্ছে- এরকম কথা বলা ইসলামে কঠিনভাবে নিষিদ্ধ। মনেরাখবেন - আপনার ভুলচর্চা যেনো ইসলাম ও তার সৌন্দর্য্যের গায়ে কালিমা না মাখে।
আর এইযে যারা গাছাড়া দিয়ে উমুক তুমুক নিয়ে ভাবছেন, আসুন নিজেরা সতর্ক হই। নিজেদের দেশ ও তার মানুষ নিয়ে ভাবি। হুমড়ি খেয়ে বাজারে, ঈদ শপিংয়ে, অপ্রয়োজনীয় ঘোরাফেরা, সাস্থ্য সচেতনতায় অবহেলা, এগুলি ভালো লক্ষ্মণ নয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম উট আগে বেঁধে তারপর আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করতে বলেছেন। আর আমরা যা ইচ্ছা তাই করে, আল্লাহ-রাসূলের নির্দেশনা অমান্যকরে, অপরের বিপদে বগল বাজিয়ে, শিক্ষা না নিয়ে, বলছি আল্লাহ ভরসা! এটি কিন্তু ইসলামের শিক্ষা নয়!
প্রিয় ভাই ও বোনেরা! আকাশ ভারী হওয়া, অজস্র আক্রান্ত, বহুমৃত্যুর ঘটনা কিন্তু খুব দুরের নয়। একই জমীন! শুধু একটি বর্ডার রেখা মাঝে। আসুন সাধ্যের মাঝে সর্বোচ্চ সতর্ক হয়ে আল্লাহর সাহায্যের ভিখারি হই!
-কেএল