মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


লাহোরে বিক্ষোভে নিহতের ঘটনায় পাক সরকারকে যা বললেন মুফতি তাকি উসমানি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

নুরুদ্দীন তাসলিম।।

পাকিস্তানের ফ্রান্স বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের গুলিতে তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তান (টিএলপি) নামে সংগঠনের চার সমর্থক নিহতের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন শায়খুল ইসলাম মুফতি মুহাম্মাদ তাকি উসমানি হাফি.। প্রতিক্রিয়ায় তিনি পাকিস্তান সরকারকে বিচক্ষণতার পরিচয় দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। খবর জিও নিউজ অনলাইনের।

জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, মুফতি মুহাম্মাদ তাকি উসমানি এক টুইট বার্তায় বলেন, লাহোরে বিক্ষোভরতদের ওপর পুলিশ যেই হামলা চালিয়েছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এর যতই নিন্দা জানানো হোক না কেন তা কম হবে।

এছাড়া তিনি বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছেন, এটাও সঠিক কোন পন্থা নয়, তবে এই ঘটনায় সরকার আরো বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে পারতেন’- টুইট বার্তায় বলেন মুফতি তাকি উসমানি।

উল্লেখ্য, পাকিস্তানে ফ্রান্স বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তান (টিএলপি) নামে সংগঠনের চারজন সমর্থককে পুলিশ নির্মমভাবে হত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এদিকে দেশটির প্রশাসন দাবি করেছে লাহোরে পুলিশ সদর দফতর থেকে পুলিশের ছয় সদস্যকে জিম্মি করে রেখেছে টিএলপি।

রবিবারের (১৮ এপ্রিল) বিক্ষোভে চারজন সমর্থককে পুলিশ নির্মমভাবে হত্যা করেছে বলে দাবি টিএলপির।

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কার্টুন প্রকাশ করার জেরে ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে পাকিস্তান থেকে বহিষ্কারের দাবিতে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারকে সময় বেঁধে দিয়েছে টিএলপি। এ নিয়ে এক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ করে আসছে টিএলপির সমর্থকরা। এ ঘটনায় সরকার টিএলপির নেতাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর বিক্ষোভ আরও চরম আকার ধারণ করেছে।

কয়েকদিন ধরে চলা এ বিক্ষোভে অন্তত চারজন নিহত ও শত শত বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। এছাড়া হাজারেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। সহিংসতার পর টিএলপিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে পাকিস্তান সরকার।

লাহোর পুলিশের মুখপাত্র আরিফ রানা বলেছেন, টিএলপি সমর্থকদের দ্বারা জিম্মিকৃত ছয়জনের মধ্যে একজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা ও প্যারামিলিটারি বাহিনীর দুইজন সদস্য রয়েছেন।

টিএলপির মুখপাত্র শফিক আমিনি রয়টার্সকে বলেছেন, রবিবার তাদের সংগঠনের চারজন সদস্য পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

গত সপ্তাহে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পর থেকে পাকিস্তানের চ্যানেলগুলোকে ওই সংগঠনের কভারেজ প্রচার করতে দেওয়া হচ্ছে না। রবিবার সংঘর্ষের এলাকায় মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগ ব্যহত হচ্ছে।

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ