শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল কুরআন-সুন্নাহর আইন ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না : মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী শীত ও শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস ফ্যাসিবাদ বারবার ফিরে আসবে, সতর্ক থাকতে হবে: গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা ‘কোনো রাজনৈতিক দলকে সরিয়ে দেয়ার ইচ্ছা জামায়াতের নেই’ শরীরে রক্ত বাড়াতে যেভাবে পালং শাক খাবেন

গ্রীষ্মের দুপুর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আশিকুর রহমান।।

বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ এ দুই মাস মিলে গ্রীষ্ম আসে। গ্রীষ্মের আগমনে বাংলার প্রকৃতি রুক্ষ ,বিবর্ণ ও বিশুস্ক হয়ে ওঠে। আর এই গ্রীষ্মের যথার্থ স্বরুপ ফুটে ওঠে গ্রীষ্মের দুপুরে। গ্রীষ্মের দুপুরের চিত্রটা আমাদের সকলের কাছে পরিচিত। রোদ্দুরে ঘেরা ভর দুপুরের সূর্যটা যেন অগ্নিরূপ ধারণ করে। চারদিকে সূর্যের প্রখর রোদ ,তপ্ত বাতাস, শুকনো পুকুর খাল বিল, নিঝুম প্রকৃতি।

কবির ভাষায়।
ঘাম ঝরে দরদর গ্রীষ্মের দুপুরে
খাল বিল চৌচির জল নেই পুকুরে।
মাঠে ঘাটে লোক নেই খাঁ খাঁ রোদ্দুর
পিপাসায় পথিকেরে ছাতি কাঁপে দুদ্দুর।

গ্রীষ্মের দুপুরে প্রকৃতি যেন নির্জীব হয়ে পড়ে। বৃক্ষের নরম পাতাগুলো নেতিয়ে পড়ে। তাজা ফুলগুলো লজ্জায় মুখ লুকিয়ে নেই। সবজির নধর পাতাগুলো খড়তাপে নুয়ে পড়ে। মাঝে মাঝে ঘূর্ণি হাওয়ায় ধূলো উড়ে। ঝরে পড়ে গাছের হলুদ পাতা। দূর আকাশে পাখনা মেলে চিল যেন বৃষ্টিকে আহ্বান জানায়। পাতার আড়ালে ঘুঘু পাখিদের উদাস করা ডাক শোনা যায়। প্রকৃতি যেন পরিশ্রান্ত হয়ে নিঝুম মুহূর্তগুলো কাটাতে থাকে। পুকুর ঘাটে তৃষ্ণার্ত কাক ,গাছের ছায়ায় পশুপাখির নিঃশব্দ অবস্থান গ্রীষ্মের দুপুরের পরিচিত দৃশ্য।

আবার কখনও গ্রীষ্মের ঝিমধরা দুপুরে কালবৈশাখী হানা দেয়। গ্রীষ্মের দুপুরে তখন রাত নেমে আসে। আকাশ কালো হয়ে যায়। সূর্যি মামা মেঘের আড়ালে লুকিয়ে যায়। তর্জন গর্জন শুরু হয় গগনে। কালবৈশাখীর ভয়াল থাবায় বৃক্ষের ডালপালাগুলো হেলে পড়ে। শুরু হয় বৃষ্টি, স্নান করে দিয়ে যায় শুষ্ক জমীন।

গ্রীষ্মের দুপুরে গ্রামের পরিবেশ একদম ঝিমিয়ে পড়ে। প্রচন্ড রোদে কৃষকরা মাঠে কাজ করতে পারে না। ঘরের ভিতর অসহ্য গরম আর বাহিরের প্রচন্ড তাপদাহ। গাছের ছাঁয়ায় বসে হাতপাখা নিয়ে গরম ঘোছাবার চেষ্টা করে গ্রামের মানুষজন। বটের ছাঁয়ায় নির্গমন পথিকরা আশ্রয় খোঁজে। কেউ কেউ এই দুপুরে বৃক্ষের ছাঁয়ায় তাল পাতার পাটি বিছিয়ে বিশ্রাম খোঁজার চেষ্টা করে। গায়ের দুষ্ট ছেলেদের আমবাগানে আনাগোনা বেড়ে যায়। তাদের কেউ কাঁচা আম চুরি করে ভর্তা বানিয়ে খায়।

গ্রীষ্মের দুপুরে শহরের দৃশ্য অবশ্য অন্যরকম। প্রচণ্ড রোদে রাস্তার পিচ গলতে থাকে। রাস্তায় যানবাহনের চলাচল কমে আসে। গলির ঝাপঁখোলা দোকানপাটে ঝিম-ধরা ভাব। ঘরে বাহিরে কর্মের জগত হঠাৎ যেন ঝিমিয়ে আসে। অফিস পাড়ার কর্মব্যস্ততাও এই সময় একটু শিথিল হয়ে আসে। ক্লান্তি ও শ্রান্তি ঘিরে ধরে কর্মচঞ্চল জীবনপ্রবাহকে।

এইসব দোষগুণ মিলে আমাদের গ্রীষ্মের দুপুর। তাপদাহ দুপুরের প্রচণ্ড রোদে ঝিমধরা প্রকৃতিতে আমাদের জনজীবন আশ্রয় খুঁজে একটুখানি বৃষ্টির আলিঙ্গনে।

শিক্ষার্থী: জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া সাত মসজিদ মোহাম্মদপুর ঢাকা।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ