আওয়ার ইসলাম: শ্রমের ন্যায্য মজুরীরির দাবীতে বাশঁখালীতে বিদ্যুৎকেন্দ্র শ্রমিকদের শান্তির্পুন কর্মসুচীতে পুলিশের গুলিতে ৭ শ্রমিকের হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, মাহে রমজান ও করোনা পরিস্থিতিতে দ্রব্যমুল্য লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
তিনি আজ (রবিবার) চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা লেবার পার্টির সাথে বাশঁখালী বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিক হত্যার নিয়ে ভার্চুয়াল মতবিনিময় কালে তিনি একথা বলেন।
শ্রমজীবি মেহনতি মানুষ ও মধ্যবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেনী মানবেতর জীবন পরিচালনা দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। বাশঁখালীতে শ্রমের ন্যায্য মজুরী, রোজায় সেহরী-ইফতারের সুযোগ সৃষ্টির দাবীতে শ্রমিকদের শান্তিপূর্ন কর্মসুচীতে পুলিশের বর্বরোচিত ও নৃশংস হত্যাকান্ড দেশবাসীকে হতবাক করেছে। শ্রমিকরা জীবন বাচাঁতে কর্মবিরতি কর্মসুচীতে যেতে বাধ্য হয়েছে।
দ্রব্যমুল্যের উর্ধ্বগতিতে শ্রমিকদের পিঠ দেয়ালে ঠেকেছে আখ্যায়িত করে ডাঃ ইরান বলেন, সরকার দ্রব্যমুল্যের উর্ধ্বগতিতে শ্রমজীবি জনগন দিশেহারা। আয় ও ব্যায়ের সমন্বয় না থাকায় বাশঁখালীতে যে বিস্ফোরন ঘটেছে তা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ার আশংকা করছি। কালোবাজারী সিন্ডিকেট চক্রকে সরকার মদদ দেয়ায় সরকারের বাজার সমন্বয় হচ্ছে না। যে যার মতো দাম হাকিয়ে মুনাফার নামে লুটপাট করছে। বেকার কর্মহীন ও মধ্যবিত্ত শ্রেনী আর্তনাদ শোনার কেউ নাই। সরকার জনগনের কাছে দায়বদ্ধ না থাকায় জনস্বার্থ উপেক্ষিত হয়ে পড়েছে। তাই অবিলম্বে বাজার মনিটরিং জোর করা একান্ত প্রয়োজন। বেকার কর্মহীন ও শ্রমজীবি শ্রেনীকে বাচাঁতে দেশের সকল ওয়ার্ড পর্যায়ে সোনাবাহিনীর মাধ্যমে রেশনিং চালু করার আহবান জানিয়ে বলেন, শ্রেনী বৈসাম্যের কারনে দেশে যে কোন সময় গণবিস্ফোরন ঘটতে পারে।
দক্ষিন জেলা সভাপতি ডাঃ জুনু মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন লেবার পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব লায়ন ফারুক রহমান, চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আলাউদ্দিন আলী, সাধারন সম্পাদক আফসার উদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ আবসার আলী সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল উদ্দিন, দক্ষিন জেলা সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, যুবমিশন কেন্দ্রীয় যুগ্ম-আহবায়ক আখতারুজ্জামান জামান, ছাত্রমিশন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কবি ইকবাল মাহমুদ ও যুবমিশন নেতা আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
-এটি