আওয়ার ইসলাম: চট্টগ্রাম-১২ আসন পটিয়ার এমপি জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরী ও তার ছেলে শারুন চৌধুরীর বিরুদ্ধে পটিয়া থানা জামে মসজিদের জায়গায় বহুতল মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
গত দুই বছর আগে হুইপ ও তার পুত্র প্রভাব খাটিয়ে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী মসজিদটি ভেঙে ফেলেন। এই নিয়ে তখন ব্যাপক ক্ষোভ আলোচনার সৃষ্টি হয়। এখন হুইপ ও তার পুত্র ভেঙে ফেলা মসজিদের জায়গায় মার্কেট নির্মাণ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, এলাকার মুসল্লিরা পটিয়া থানার পাশে এস এ রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে নামাজ পড়ছেন।
জানা যায়, শত বছরের ঐতিহ্যবাহী মসজিদটি ভেঙে ফেলার পর সেখানে মসজিদ কাম বহুতল মার্কেট বানাতে চেয়েছিলেন হুইপ ও তার পুত্র। তাদের এই অপচেষ্টা এখনো অব্যাহত রয়েছে। মসজিদ ভাঙার সময় সাধারণ মানুষ ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারেননি। থানা পুলিশ কর্মকর্তারা বাধা দিলে শাস্তি হিসেবে তাদের হতে হয়েছে বদলি। প্রতিবাদ করায় কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে পড়তে হয়েছে হুইপপুত্রের রোষানলে। এই নিয়ে পুলিশ প্রশাসনে রয়েছে অসন্তোষ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পটিয়ার এক আওয়ামী লীগের নেতা বলেন, ‘মসজিদ ভেঙে মার্কেট নির্মাণের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেছে। তাদের এমন অপকর্মে আমরা বিব্রত।’
জানা যায়, ১৮৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘পটিয়া থানা জামে মসজিদ’। মসজিদটি পটিয়া সার্কেলের এএসপি কিংবা থানার অফিসার ইনচার্জ সভাপতি এবং মুসল্লিদের পক্ষ থেকে একজন সেক্রেটারি নির্বাচিত হয়ে মসজিদ পরিচালিত হয়ে আসছিল। ১৯৯৪ সালে পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ও এ আহমদের যৌথ স্বাক্ষরে জনতা ব্যাংকের পটিয়া শাখায় ‘থানা মসজিদের’ নামে একটি যৌথ হিসাবও খোলা হয়। সরকারি বিভিন্ন দলিলেও ‘পটিয়া থানা জামে মসজিদ’ হিসেবে উল্লেখ রয়েছে।
গত এক দশকে পটিয়ার প্রাণকেন্দ্রে ভূমির দাম বেড়ে যায় কয়েকগুণ। ফলে ‘পটিয়া থানা জামে মসজিদ’র জায়গার ওপর দৃষ্টি পড়ে এমপি শামসুল হক ও তার পুত্রের। ২০১৩ সালে এমপি অনুসারী এবং তৎকালীন পৌর মেয়র হারুনুর রশিদকে সভাপতি করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট কথিত মসজিদ পরিচালনা কমিটি গঠন করেন। মসজিদের ওই জায়গায় ১০ তলা বহুতল মার্কেট নির্মাণের উদ্যোগ নেন হুইপ ও তাদের অনুসারীরা। তারা ‘নুসরাত ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে ভবন নির্মাণে যুক্তি করে।
এনটি