আওয়ার ইসলাম: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আবদুল কাদের মির্জা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের বিবদমান সহিংসতার পর উপজেলা সদর বসুরহাটে অতিরিক্ত র্যাব-পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
শনিবার বসুরহাটের পৌরভবন, বঙ্গবন্ধু চত্বর, বাসস্ট্যান্ড, রূপালী চত্বর, শহিদ মিনার, উপজেলা গেটসহ বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
লকডাউনের মধ্যে বাজারে লোকজন কম থাকলেও সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদসহ বিভিন্ন কৈফিয়ত দিয়ে পুলিশ-র্যাবের চেকপোস্ট পার হতে হচ্ছে।
বসুরহাট পৌরসভা ভবনের তিনতলায় বেশ কয়েকজন অনুসারী নিয়ে অবস্থান করছেন মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। সেই ভবনের অনেক ফটকের গেটে তালা লাগিয়ে মূল ফটকে অতিরিক্ত পুলিশ দায়িত্ব পালন করছেন। কাদের মির্জার পরিবারের লোক ছাড়া তেমন কাউকে সেখানে যেতে দেয়া হচ্ছে না।
সকালের দিকে বসুরহাট বাজারে সীমিত আকারে কাঁচাবাজার বসলেও দুপুরের দিকে ওষুধ আর কিছু মুদি দোকান ছাড়া সব বন্ধ রয়েছে। দূরপাল্লার ভারি কোনো যানবাহন না চললেও কিছুসংখ্যক ব্যাটারি ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলতে দেখা গেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জিয়াউল হক মীর বলেন, কোম্পানীগঞ্জের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। একজন ডেপুটি অ্যাডিশনাল ডিরেক্টরের (ডিএডি) নেতৃত্বে র্যাব-১১ এর ১৬ সদস্য রয়েছেন। র্যাবের একটি অস্থায়ী ক্যাম্প করারও প্রস্তাব করা হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, দুইজন এএসপির নেতৃত্বে ৭০ জন অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য রয়েছেন। এছাড়া থানার অফিসার-ফোর্সসহ ৬০ জন নিয়মিত পুলিশ সদস্যও পালাক্রমে ডিউটিরত অবস্থায় আছেন।
এনটি