আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির শায়খুল হাদিস আল্লামা ইসমাঈল নূরপুরী, নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, মাওলানা রেজাউল করিম জালালী, মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী,ও মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক, যুগ্মমহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা কোরবান আলী কাসেমী বলেন, হাটে বাজারে দোকান পাটে লোকের সমাগম প্রচুর পরিমান, শিল্প কারখানাতে অসংখ্য শ্রমিক কর্মরত। এ সব জায়গার জন্য কোনো সংখ্যা নির্ধারণ না করে সরকার মসজিদে নামাজে অংশ গ্রহণ সংখ্যা নির্ধারণ করেছে। তা মুসল্লিরা কোনোভাাবেই মেনে নিচ্ছে না। এতে মুসল্লিদের মাঝে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
আজ (১৫ এপ্রিল) এক যুক্ত বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, বিভিন্ন মসজিদে মুসল্লিরা বিক্ষোভ করেছে। মসজিদে অতীতেও স্বাস্থ্য বিধি মেনে মুসল্লিরা নামাজে অংশ গ্রহণ করেছে। নেতৃদ্বয় মুসল্লিদেরকে নামাজে অংশ গ্রহণ করার জন্য মসজিদকে উম্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।
নেতৃদ্বয় বলেন, করোনার অজুহাত করে লকডাউন ঘোষণা করলেও আলেম-উলামা ও সাধারণ মানুষদের হয়রানি ও গ্রেফতার বন্ধ হয়নি। রমজানের শুরুতেই আলেম উলামাদের হয়রানি করা হচ্ছে। প্রথম রমজানে দেশের দুইজন শীর্ষ আলেম মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী ও মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন রাজীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সারা দেশে শীর্ষ আলেমসহ প্রায় দুই শতাধিক আলেমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা দেশ ও জাতির জন্য অশুভনীয় ও অকল্যাণকর। হয়রানি ও গ্রেফতার করে এবং রিমান্ড দিয়ে হকের আওয়াজকে বন্ধ করা যাবে না। অবিলম্বে হয়রানি ও গ্রেফতার বন্ধ এবং আটককৃতদের মুক্তি দিন। অন্যথায় দেশের জনগণ লকডাউন ভেঙ্গে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, করোনায় সব কিছু চলতে পারে কিন্ত যেখানে সার্বক্ষনিক কুরআনের তেলাওয়াত হয় তা চলতে পারে না। এটা কেমন নীতি? মানুষ ভাবছে কুরআন তেলাওয়াতের স্থান বন্ধ করে দিয়ে সরকার ইসলামী শক্তিকে দুর্বল করার পায়তারা করছে। সুতরাং আল্লাহকে ভয় করুন। ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। নেতৃদ্বয় সারা দেশের হিফজ ও নূরানী মাদরাসাগুলো খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
-এটি