আওয়ার ইসলাম: টিকা গ্রহণের পর রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় জনসন অ্যান্ড জনসনের উদ্ভাবিত এক ডোজের করোনাভাইরাসের টিকার ব্যবহার স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। যুক্তরাষ্ট্রে এই টিকা নেওয়ার পর এখন পর্যন্ত মোট ৬ জন রক্ত জমাট বাঁধার শিকার হয়েছেন। যে কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ)।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৬৮ লাখ মানুষের দেহে জনসনের টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ছয় জনের দেহে বিরল ধরনের রক্তজমাটের ঘটনা ঘটে। ফলে দেশটির খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন এ টিকার প্রয়োগে বন্ধের আহ্বান জানায়।
এদিকে, গত সপ্তাহে জনসনের টিকা প্রয়োগ শুরু করেছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ঘটনার কারণে এক ডোজের টিকার প্রয়োগ বন্ধ করে তারা। যদিও এখনও সেখানে কোনো পার্শ্বপ্রাতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি। একই কারণে এর আগে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রয়োগ সীমিত করে দিয়েছিলো ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্র।
এক বিবৃতিতে এফডিএ বলছে, রক্ত জমাট বাধার এই ঘটনাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ‘সিভিএসটি’ বলে। মস্তিষ্ক থেকে পরিবহনের নালীতে রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা বোঝাতে এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের রক্ত জমাট বাধার জন্য আলাদা ধরনের চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে। কারণ, জমাট বাঁধা স্থানে ওষুধের ব্যবহারের পরিণতি মারাত্মক হতে পারে।
এফডিএ আরও জানিয়েছে, যে ছয়টি ঘটনা শনাক্ত করা হয়েছে, তারা সবাই নারী। বয়স ১৮ থেকে ৪৮ বছরের মধ্যে। টিকা গ্রহণের ছয় থেকে ১৩ দিন পর তাদের রক্ত জমাট বাঁধার লক্ষণ দেখা দিয়েছে।
এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস’র খবরে বলা হয়েছে, টিকাগ্রহণের পর রক্ত জমাট বাঁধা নারীদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে, আরেকজনের অবস্থা গুরুতর।
এফডিএ’র ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা গ্রহণের পর যাদের তিন সপ্তাহের মধ্যে তীব্র মাথা ও পেট ব্যাথা, পা ব্যাথা কিংবা শ্বাসপ্রশ্বাসের পরিমাণ কমে গেছে তাদের দ্রুত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।’
-এটি