আওয়ার ইসলাম: হেফাজতে ইসলামের নারায়ণগঞ্জ জেলা সেক্রেটারি ও মাদানীনগর মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতি বশিরুল্লাহ ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক মুফতি শরিফউল্লাহকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মুফতি বশিরুল্লাহকে মঙ্গলবার রাত ১১ টায় সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় লন্ডন মার্কেট এলাকায় নির্মাণাধীন বাড়ী থেকে ও মুফতি শরিফুল্লাহকে যাত্রাবাড়ীর মীর হাজিরবাগ এলাকা থেকে ডিবি ওয়ারী বিভাগ গ্রেফতার করেছে বলে জানা গেছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মশিউর রহমান ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ) ইফতেখায়রুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মুফতি শরিফউল্লাহ ২০১৩ সালের ৬ মে যাত্রাবাড়ী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়েরকৃত মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বলে জানা গেছে।
মুফতি বশিরুল্লাহর বিরুদ্ধে ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের হরতালে সহিংসতায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে তিনি মামলার এজহারভুক্ত আসামী নয়।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের হরতালে সহিংসতার অভিযোগ এনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মোট ৮টি মামলা দায়ের করা হয়।
এর আগে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীকে আটকের পর একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ২০১৩ সালের ৬ মে পল্টন থানায় দায়ের করা এক মামলায় মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ১১ এপ্রিল হাটহাজারী মাদ্রাসায় হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক শেষে চট্টগ্রামের বাসায় ফেরার পথে ‘নিখোঁজ’ হন ইসলামাবাদী। ১২ এপ্রিল দুপুর ১টা পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল বলে দাবি করে তার পরিবার। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইসলামাবাদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
১২ এপ্রিল ইসলামাবাদীকে সাত দিনের রিমান্ড দিয়েছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী।
একইদিন ১১ এপ্রিল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সহঅর্থসম্পাদক ও ঢাকা মহানগরী কমিটির সহসভাপতি মুফতি ইলিয়াস হামিদিকে গ্রেফতার করে র্যাব। মুফতি ইলিয়াস হামিদিও কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দের জরুরি বৈঠক শেষে হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে ঢাকায় ফেরার পথে গ্রেফতার হন।
এনটি