আওয়ার ইসলাম: ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে এক আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে চড়াও হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে নগরীর বোয়ালিয়া থানার সিরোইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জান যায়, ঘটনার সময় ব্যবসায়ী আব্দুল বারী মসজিদে তারাবীর নামাজ পড়তে মসজিদে গিয়েছিলেন। তবে সন্ত্রাসীরা দুদিনের মধ্যে ১০ লাখ টাকা না পেলে তাকে শেষ করে দেবে বলে হুমকি দিয়ে গেছে। ব্যবসায়ী আব্দুল বারী ঘটনাটি বোয়ালিয়া থানায় এ হুমকি ও ক্যাডার অভিযানের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
নগরীর সিরোইলের বাসিন্দা আব্দুল বারীর অভিযোগ, মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে তিনি পার্শ্ববর্তী মসজিদে তারাবির নামাজ পড়তে যান। রাত পৌনে ৯টার দিকে নগরীর ১০নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আহম্মেদের নেতৃত্বে ১০-১২টি মোটরসাইকেলে একদল সশস্ত্র ক্যাডার সিরোইলে ব্যবসায়ী বারীর বাড়ি ঘেরাও করেন। তারা বাইরে থেকে চিৎকার করে বাড়ির দরজা খুলে তাকে বেরিয়ে আসতে বলেন।
এ সময় বারী মসজিদে থাকায় তার স্ত্রী ও সন্তানরা আতঙ্কিত হয়ে জানান, তার স্বামী বাড়িতে নেই। বারীর স্ত্রী সন্ত্রাসীদের উগ্রমূর্তি দেখতে পেয়ে দরজা না খুলে ভেতর থেকে আরও শক্ত করে দরজা আটকে দেন। বাইরে থেকে সন্ত্রাসীরা বারীকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও হুমকি দিতে দিতে বলতে থাকেন দুদিনের মধ্যে ১০ লাখ টাকা না পেলে শালাকে যেখানে পাবো খতম করে দিব।
এ সময় সন্ত্রাসীরা বাড়ির দরজায় লাথি মারে এবং দরজা ভেঙ্গে বাড়িতে প্রবেশেরও চেষ্টা করে। তবে মসজিদ থেকে মুসুল্লিরা নামাজ শেষে ফিরতে শুরু করলে তারা মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
আব্দুল বারীর আরও অভিযোগ, সপুরা এলাকার তার কেনা একটি জমি নিয়ে একটি পক্ষের সঙ্গে তার বিরোধ চলছে। আদালতে উভয়পক্ষে মামলা মোকদ্দমা আছে। সম্প্রতি তার প্রতিপক্ষের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা জমির সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলে। তিনি পুলিশের সহায়তায় তা পুনর্নির্মাণ করেন। এরপর থেকেই আওয়ামী লীগ নেতা জাফর আহম্মেদ ও তার ভাই আব্দুর রাজ্জাক রাজনসহ সন্ত্রাসীরা তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছেন। তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে একাধিকবার ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ডিউটি অফিসার এসআই তানজিলা খাতুন জানান, ব্যবসায়ী আব্দুল বারী বুধবার দুপুরে বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে একটি জিডি করেছেন। এ ব্যাপারে ওসি সাহেবের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগ নেতা জাফর আহম্মেদের মোবাইল ফোনে কল দিলেও তিনি ধরেননি। ফলে অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
-এটি