মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


কাজের অজুহাতে রোজা ফাঁকি দেয়া যাবে না

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুফতী রফিকুল ইসলাম আল-মাদানী

ইসলামি শরিয়ত যে ধরনের অসুস্থতা এবং যে ধরনের সফরের কারণে রোজা না রাখার অনুমতি দিয়েছে শরীয়ত সম্মত ওই কারণে রোজা ছাড়া যাবে। এছাড়া কোন কাজের দোহাই অথবা ক্লান্তি দুর্বলতা ব্যস্ততা ইত্যাদি অজুহাতের মাধ্যমে রোজা ফাঁকি দেয়ার কোনো সুযোগ ইসলামী শরীয়তে নেই।

কোন ব্যক্তি যদি কঠিন কাজে নিয়োগ থাকেন তাকেও রোজা রাখতে হবে। এতে বিজ্ঞ ওলামায়ে কেরাম কোন ধরনের মতানৈক্য করেননি। অতিবাহিত নির্ভরযোগ্য কিতাব পত্রে উলামায়ে কেরামের কোন মতভেদ নেই। আরব অনারব গোটা বিশ্বের বিজ্ঞ আলেমগণ এ বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করেন। কোরআন এবং হাদীসের আলোকে রোজা ফরজ।

রোজা ইসলামের একটি রুকন। যেকোনো পর্যায়ে রোজা ভাঙতে হলে শরীয়ত সম্মত দলীল দ্বারা প্রমাণ করতে হবে। শরীয়ত সম্মত অনুমতি ছাড়া রোজা ভাঙ্গার কোন সুযোগ নেই।

রমজান মাসে বদর যুদ্ধকালে নবীজি স.ও সাহাবাগণ র. সবাই রোজা অবস্থায় ছিলেন।

তবে যে ব্যক্তি কঠিন কাজে নিয়োজিত থাকে তাকে ইসলামী শরীয়তের আলোকে কয়েকটি পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।
১. ধৈর্য ধারণ করা ২. অন্য সহজ কাজ খোঁজ করা ৩. সম্ভব হলে রাতে কাজের আঞ্জাম দেয়া ৪. অন্য কোন স্থানে কাজের জন্য স্থানান্তরিত হওয়া অথবা অন্য বিকল্প যেকোনো সহজ উপায় খোঁজা।

তবে কাজের চাপে রোজা না রাখার অনুমতি ইসলামী শরীয়তে নেই। রোজা রাখার জন্য সহজ হয় এমন উপায়-উপকরণ অবলম্বন করার অনুমতি আছে। যেমন মাথায় পানি দেয়া, কুলি করা, গা মুছা ইত্যাদি।

তবে কেউ যদি কোন কারণে মৃত্যুর উপক্রম হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে সেক্ষেত্রে তার জন্য রোজা ভেঙ্গে ফেলার অনুমতি আছে। পরবর্তীতে সে একটি রোজা কাজা করবে।

লেখক: গবেষক, কলামিষ্ট ও মুহাদ্দিস ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বাংলাদেশ বসুন্ধরা ঢাকা।

ইসলাম প্রতিদিন বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন[email protected]

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ