আওয়ার ইসলাম: প্যান্ট চুরি করে অবশেষে জরিমানা দিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে ক্ষমা চাইলেন রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান ওরফে জুয়েল রানা। গত শনিবার সন্ধ্যায় তানোরের গোল্লাপাড়া বাজারের প্রদিপ সুপার মার্কেটে এমন ঘটনা ঘটে। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে পরের দিন ঘটনাটি প্রকাশ পায়।
তবে চুরি নয়, মজা করেই প্যান্টটি নিয়ে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেতা। এ কারণে তিনি প্যান্টের দামও পরিশোধ করে এসেছেন।
অভিযুক্ত জেলা ছাত্রলীগের এই নেতা বলেন, ‘আমি প্যান্টটা চুরি করিনি। মজা করেছি। সন্ধ্যায় মজা করে সকালে ওই প্যান্ট পরে এসে টাকা দিয়ে দিয়েছি। একজন অপরিচিত মানুষ আমাকে মার্কেটের পেছনে পানের সাথে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায়। এরপর থেকে আমি আর কথা বলতে পারিনি। নেশা নেশা লাগছিল। বিষয়টি অনেকেই জেনে যাবে তাই, কথা না বলে প্যান্টটা নিয়ে যাই।’
ছাত্রলীগের এই নেতাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, সিসিটিভির ফুটেজে আপনাকে তো অন্য মানুষের মতই স্বাভাবিক দেখাচ্ছিল এবং স্বাভাবিকভাবেই হেটে প্যান্ট সেল্ফ থেকে খুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আমরা খোঁজ-খবর নিয়ে দেখব।’ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজ জানান, ‘এই প্রথম আপনার কাছে শুনলাম। আপনি যে নাম বললেন সেটা ঠিক আছে, আর মোবাইলও মিলে গেছে। তবে কোনো ব্যবসায়ী বা বাজার কমিটি অভিযোগ করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এনটি