আওয়ার ইসলাম: দেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। প্রতিদিন বাড়ছে শনাক্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড। শনিবার দুপুরেও ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭৭ জনের মৃত্যুর খবর প্রকাশ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ ছাড়া ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ হাজার ৩৪৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়।
এদিকে শনিবার (১০ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) তথ্য মতে, রাজধানীর দুটি এলাকায় সর্বাধিক সংক্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে। এলাকা দুটি হলো মিরপুরের রূপনগর এবং মোহাম্মদপুরের আদাবর।
আইইডিসিআর বলছে, ওই দুই থানা এলাকা এখন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এ ছাড়া আরও ১৭টি থানা এলাকায় করোনা শনাক্তের হার ৩০ শতাংশের উপরে।
আইইডিসিআর জানায়, গত ২৭ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৪ হাজার ৩৩২টি পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ১০৩ জন। শনাক্তের হার ৩৬ শতাংশ। অন্যদিকে উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ৩৬ হাজার ৭৭১টি পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৮৪৩ জন। শনাক্তের হার ২৯ শতাংশ।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ঢাকায় রূপনগর থানা এবং আদাবর থানা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ থানা। রূপনগরে শনাক্তের হার ৪৬ শতাংশ এবং আদাবরে ৪৪ শতাংশ।
আইইডিসিআর’র কর্মকর্তারা জানান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আরও জানা যায়, ঢাকার আরও ১৭টি থানার করোনা শনাক্তের হার ৩০ শতাংশের ওপর অবস্থান করছে। ২৩টি থানায় ২০ শতাংশের ওপরে এবং ৭টি থানায় ১১ শতাংশের ওপরে শনাক্তের হার আছে।
১১ থেকে ২০ শতাংশের মধ্যে আছে তেজগাঁও, উত্তরা পশ্চিম থানা, ভাসানটেক, গুলশান, ক্যান্টনমেন্ট, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এবং বিমানবন্দর থানা এলাকা।
২১ থেকে ৩০ শতাংশের মধ্যে আছে শাহবাগ, বংশাল, লালবাগ, শাহজাহানপুর, রমনা, কামরাঙ্গীরচর, শ্যামপুর, বাড্ডা, বনানী, উত্তরখান, শেরে বাংলা নগর, সূত্রাপুর, যাত্রাবাড়ী, পল্লবী, কাফরুল, ডেমরা, ওয়ারী, ভাটারা, দক্ষিণ খান, খিলক্ষেত, কদমতলি, উত্তরা পূর্ব থানা, পল্টন থানা এলাকা।
৩০ শতাংশের ওপরে আছে রূপনগর, আদাবর, শাহ আলী, রামপুরা, তুরাগ, মিরপুর, কলাবাগান, মোহাম্মদপুর, মুগদা, গেন্ডারিয়া, ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, নিউমার্কেট, চকবাজার, সবুজবাগ, মতিঝিল, দারুসসালাম, খিলগাঁও।
এনটি