মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে আবারও অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে দেশ: ফখরুল চক্রান্তের ফাঁদে না পড়ে সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণের আহ্বান শায়খ আহমাদুল্লাহর ভোলায় জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও স্মরণসভা চরমোনাইর বার্ষিক অগ্রহায়ণ মাহফিল বুধবার, চলছে সর্বশেষ প্রস্তুতি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান আসিফ মাহমুদের অসহায় শীতার্তের পাশে মাওলানা গাজী ইয়াকুবের তাকওয়া ফাউন্ডেশন দেশের তিন জেলায় শিক্ষক নিচ্ছে ‘আলোকিত মক্তব’ বৃদ্ধার দাড়ি টেনে ছিঁড়ে ফেলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবন্ধীদের ধর্মীয় ও কারিগরি শিক্ষা দিতে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে: ধর্ম উপদেষ্টা ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র করার ষড়যন্ত্র সফল হবে না: মাওলানা আরশাদ মাদানী

ভারতে মুসলিম দিনমজুরের লাইব্রেরিতে দুষ্কৃতকারীর আগুন, পুড়লো ৪ হাজার কুরআন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় কর্ণাটক রাজ্যের মাইসুরু শহরে মুসলিম এক দ্নিমজুরের চালানো লাইব্রেরিতে আগুন দিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা। শুক্রবারের এই অগ্নিকাণ্ডে এই লাইব্রেরিতে থাকা চার হাজার কপি কুরআন, বাইবেল ও গীতাসহ মোট ১১ হাজারের বেশি বই পুড়ে গেছে বলে খবর জানায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।

৬২ বছর বয়সী মুসলিম দিনমজুর সৈয়দ ইসহাক দারিদ্র্যের কারণে শৈশবে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন। কিন্তু শিক্ষার প্রতি তার আগ্রহ থেকে নিজের প্রচেষ্টায় এই লাইব্রেরি তৈরি করেন তিনি। স্থানীয় রাজিব নগর ও শান্তিনগর এলাকার মানুষ বিনামূল্যে এই লাইব্রেরিতে এসে বই পড়তে বা ধার করতে পারতো।

সংবাদমাধ্যমের কাছে সাক্ষাতকারে সৈয়দ ইসহাক বলেন, 'ভোর ৪টায় লাইব্রেরির কাছাকাছি থাকা এক লোক আমাকে ভেতরে আগুন লাগার কথা জানায়। অল্প কিছু দূরে থাকা লাইব্রেরিতে যখন আমি ছুটে যাই, আমি তখন শুধু সব পুড়ে ছাই হতে দেখি।'

লাইব্রেরির ৮৫ ভাগ বই কানাড়া ভাষার হলেও ইংরেজি ও উর্দু ভাষায়ও কিছু বই সেখানে ছিলো। তিনি বলেন, 'লাইব্রেরিতে তিন হাজারের বেশি ভগবদ গীতার বিচিত্র সংগ্রহ ছিল। এছাড়া এক হাজারের বেশি কুরআন ও বাইবেলের কপি ছিল লাইব্রেরিতে। সাথে সাথে আরো হাজার হাজার বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বইয়ের সংগ্রহ ছিল যা আমি বিভিন্ন দাতার কাছ থেকে সংগ্রহ করি।'

যদিও সৈয়দ ইসহাক নিজের অর্থে লাইব্রেরির বই সংগ্রহ করেননি, তবে লাইব্রেরি রক্ষণাবেক্ষণ এবং কানাড়া, হিন্দি, উর্দু ও ইংরেজি ভাষার ১৭টির বেশি দৈনিক পত্রিকা সংগ্রহ করতে তিনি তার মজুরির অর্থ থেকেই খরচ করেন।

আগুন লাগানোর ঘটনায় ইসহাক উদয়গিরি পুলিশ স্টেশনে দুষ্কৃতকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৩৬ ধারার অধীনে এজাহার নেয় এবং দুষ্কৃতকারীদের ধরতে অভিযান শুরু করে।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দমে যাননি সৈয়দ ইসহাক। তিনি আবার লাইব্রেরিটি গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন।

অনলাইনে তহবিল সংগ্রহের ভারতীয় প্ল্যাটফর্ম কিটোতে লাইব্রেরিটি গড়ার জন্য তার নামে একটি তহবিল সংগ্রহ অভিযান চালু করা হয়েছে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও মুসলিম মিরর

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ