আওয়ার ইসলাম: ইসরায়েলে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় গত মাসে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর আবার নতুন করে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। শনিবার জেরুসালেমে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে শত শত ইসরায়েলি নাগরিক সমবেত হন।
এর আগে গত ২৩ মার্চ দুই বছরের মাথায় চতুর্থ সাধারণ নির্বাচন ইসরায়েলে অনুষ্ঠিত হয়। তবে এই নির্বাচনেও কোনো রাজনৈতিক জোট ইসরায়েলি আইন পরিষদ নেসেটে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় চতুর্থ দফায় দেশটিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট সৃষ্টি হয়েছে।
সরকার গঠন নিয়ে নেসেট সদস্যদের সাথে আলোচনার পর ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট রিউভেন রিভলিন ৬ এপ্রিল দেশটির নতুন সরকার গঠন করতে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকেই দায়িত্ব দেন।
শনিবারের বিক্ষোভে 'ক্রাইম মিনিস্টার' (অপরাধমন্ত্রী) লেখা পতাকা নাড়িয়ে বিক্ষোভকারীরা অংশ নেন।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, দুর্নীতির অভিযোগে বিচারের শুনানি চলার সময় বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন না।
২০১৯ সালে গঠিত নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির এই মামলার অভিযোগে বলা হয়, সম্পদশালী বন্ধুদের কাছ থেকে উপহার ও মিডিয়া টাইকুনদের কাছে প্রশংসামূলক কভারেজের বিনিময়ে তিনি তাদের অনৈতিক সুবিধা দিয়েছেন।
নির্বাচনের জন্য শুনানি স্থগিত থাকার পর ৫ এপ্রিল থেকে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিচারের শুনানি আবার শুরু হয়েছে। নেতানিয়াহু তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে অস্বীকার কলে দাবি করছেন, এই মামলা একটি ‘অভ্যুত্থান চেষ্টা’ যার উদ্দেশ্য ‘দৃঢ় রক্ষণশীল প্রধানমন্ত্রীকে’ ক্ষমতাচ্যুত করা।
ইসরায়েলের ইতিহাসে দীর্ঘতম সময় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা রক্ষনশীল এই নেতাকে এখন ২৮ দিনের মধ্যে নতুন সরকার গঠন করতে হবে। প্রয়োজনে প্রেসিডেন্টের কাছে অতিরিক্ত দুই সপ্তাহের আবেদন করতে পারলেও নির্ধারিত সময়ে সরকার গঠন না হলে ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট অন্য কোনো প্রার্থীকে সরকার গঠনে আহ্বান জানাবেন।
সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড
এনটি