আওয়ার ইসলাম: ইরানের ভূগর্ভস্থ নাতানজ পরমাণু স্থাপনায় বৈদ্যুতিক বিভ্রাট থেকে দুর্ঘটনা ঘটেছে। দেশটির প্রেস টিভির বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে।
তেহরানের পরমাণু জ্বালানি সংস্থার মুখপাত্র বেহরোজ কামালাভান্দে বলেন, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনায় বৈদ্যুতিক সার্কিটে একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনার কারণ জানা যায়নি, তদন্ত চলছে বলেও তিনি জানান।
এএফপি জানিয়েছে, ইরানের পরমাণু স্থাপনায় একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এতে কোনো হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
এদিকে নাতানজ পরমাণু চুল্লিতে অত্যাধুনিক মডেলের নতুন বেশ কিছু সেন্টিফিউজে গ্যাস সরবরাহ করছে ইরান। পাশাপাশি জাতীয় পরমাণু প্রযুক্তি দিবস উদযাপনের দিন শনিবার নিজেদের কয়েক ডজন সফলতা উন্মোচন করেছে দেশটি। তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ তা তুলে ধরতেই ইরান এসব উদ্যোগ নিয়েছে। আলজাজিরা ও রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে।
এদিকে পরমাণু বিস্তার রোধের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। শনিবার নাতানজায় অত্যাধুনিক সেন্ট্রিফিউজ চালু পরিদর্শনে যান তিনি। এছাড়া তেহরান থেকে ভিডিওলিংকের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন রুহানি। যার মধ্যে বেসামরিক ও চিকিৎসার কাজে ব্যবহারে ১৩৩টি প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনও রয়েছে।
২০১৫ সালের বিশ্ব শক্তিগুলোর সঙ্গে পরমাণু চুক্তি ফের সক্রিয় করতে ভিয়েনায় আলোচনা শুরুর পরেই এসব প্রদর্শন করল তেহরান। আলোচনার প্রথম সপ্তাহ ইতিবাচক আভাস দিয়েই শুক্রবার শেষ হয়েছে। বৈঠকে ইরান, চীন, রাশিয়া, জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য অংশ নিয়েছিল।
ইরানের সবচেয়ে বড় পরমাণু স্থাপনাটি ইসফাহানের নাতানজে অবস্থিত। ইতিমধ্যে দশটি এসডব্লিউইউসহ ১৬৪টি আইআর৬ সেন্ট্রিফিউজে গ্যাস সরবরাহ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইরান বর্তমানে যেসব সেন্ট্রিফিউজ বসিয়েছে,তার মধ্যে সবচেয়ে টেকসই হলো আইআর৬। শিল্পকারখানার পর্যায়ের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে এই মডেলের সেন্ট্রিফিউজ বসানো হয়।
আইআর১-এর চেয়ে এটি দশগুণ বেশি ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লুরাইড (ইউএফ৬) উৎপাদন করতে পারবে। এ বিষয়ে এক প্রকৌশলীর কাছে রুহানি জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাইরের কোনো দেশের ওপর নির্ভর না করেই আমরা এই যন্ত্রকে শিল্পায়ন করতে পারব।
-কেএল