আওয়ার ইসলাম: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিপুলভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাল হওয়া ওই ছবিতে দেখা যায়, মাথায় টুপি পরা এক ব্যক্তির মুখ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর কানে। যেনো মোদির কানে কিছু বলছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একই সাথে ছবিটি নিয়ে বিভিন্ন অর্থ ছড়িয়ে পড়েছে। আবার অনেকেই প্রশ্ন করছেন পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম ভোটারদের আকর্ষণের জন্য এই ছবিটি প্রকাশ হয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
হায়দারাবাদ থেকে নির্বাচিত লোকসভা সদস্য ও অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি এক জনসভার ভাষণে এই নিয়ে করেছেন চটুল কৌতুক। বৃহস্পতিবার তার টুইটার একাউন্টে প্রকাশিত জনসভার ভাষণের এক ভিডিও ক্লিপে ওয়েইসিকে বলতে দেখা যায়, ছবিটি নিয়ে এক সাক্ষাতকারে সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেছিলেন, এই লোক কানে কানে কী বলছে?
ওয়েইসি বলেন, সাংবাদিকদের তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, ‘ওই লোক হয়তো বলছেন, ‘মোদিজি, আমি বাংলাদেশী নই।’
পশ্চিমবঙ্গ থেকে অবৈধ বাংলাদেশী অভিবাসীদের বিতাড়িত করার বিষয়ে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) দীর্ঘদিন প্রচারণা চালিয়ে আসছে। ওয়েইসি আরো বলেন, ‘অথবা ওই লোক বলতে পারেন, আমি (এনআরসি/এনপিআর সনদ) কাগজ দেখাবো না।’
ভারতের উত্তর-পূর্ব আসাম রাজ্য থেকে অবৈধ বাংলাদেশী বিতাড়িত করার উদ্দেশ্যে রাজ্যের বিজেপি সরকার নাগরিকত্ব তালিকার সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। ওই সময় জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) ও জাতীয় জন পুঞ্জি (এনআরপি) সনদ প্রদর্শন করতে না পারার জেরে স্থানীয় বহু মুসলমান অধিবাসীকে অবৈধ বাংলাদেশী বলে নাগরিক তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়। ওই ঘটনা পরে বিপুল বিতর্কের সৃষ্টি করে।
আসাদউদ্দিন ওয়েইসি বলেন, ‘ওই ব্যক্তি আরো বলতে পারেন, মোদিজি, আমার মতো টুপি আপনি কবে থেকে পরবেন?’
এদিকে জানা গেছে, মোদির ভাইরাল হওয়া ওই ছবির টুপি পরা ব্যক্তি বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার দক্ষিণ কলকাতা সভাপতি জুলফিকার আলী। দীর্ঘদিন তিনি বিজেপির রাজনীতি করে আসছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের সাথে সাক্ষাতকারে জুলফিকার আলী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমার নাম জিজ্ঞেস করেন এবং আমার কিছু প্রয়োজন কি না, তা প্রশ্ন করেন। আমি তাকে বলি, কোনো এমএলএ বা কাউন্সিলর পদ আমার প্রয়োজন নেই। আমি শুধু তার সাথে একটি ছবি তুলতে চাই। পরে আমরা ছবি তুলি।’ সূত্র : সিয়াসত ডেইলি
এমডব্লিউ/