মাওলানা মোঃ আব্দুল মান্নান ।।
আমল সাধারণত: দুই প্রকার। ১. আনুসাঙ্গিক আমল ও ২. মূল আমল। মূলত: মূল আমলটা সঠিক ও সুন্দরভাবে আঞ্জাম দেওয়ার লক্ষ্যেই আনুসাঙ্গিক আমলগুলো করা হয়। মূল আমল বাদ দিয়ে আনুসাঙ্গিক আমলের কোন মূল্য নেই। যেমন- আল্লাহ তায়ালা বলেন, আকিমুস সালাহ। নামাজ কায়েম কর।
নামাজ কায়েমের জন্যে প্রয়োজন জায়গা বা মসজিদ। মসজিদ বানানোর জন্যে দরকার ইট, সিমেন্ট, বালু, রাজমিস্ত্রী ও হেলপার। মসজিদ বানানোর পর লাগে চট, লাইট, জায়-নামাজ। অবশ্য আনুসাঙ্গিক আমল কিছু কম হলেও সমস্যা নেই। নামাজ আদায় হয়ে যাবে। তারপরও আনুসাঙ্গিক সবই করা হলো। ইমাম-মুয়াজ্জিনও রাখা হলো কিন্তু মূল আমল নামাজ কায়েম করা হলো না। তাহলে ওই মসজিদ নির্মাণের জন্যে আনুসাঙ্গিক যা কিছু করা হলো সবই বৃথা।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, ওয়ামা খালাকতুল জিন্না ওয়াল ইনসা ইল্লা লিইয়া’বুদূন। অর্থাৎ আমি জিন ও মানুষকে আমার ইবাদতের জন্যে সৃষ্টি করেছি। এখন জিন ও মানুষরা ব্যবসা-বাণিজ্য করলো, শিক্ষকতা, সাংবাদিকতা, রাজনীতি ও ক্ষেতে খামারের কাজসহ আনুসাঙ্গিক সবই করলো। শুধু মূল আমলটা অর্থাৎ ইবাদতটুকু করলো না।
তাহলে বলুন, আল্লাহ তায়ালার নিকট এর মূল্য কতটুকু হবে? অতএব, মূল আমল ঠিক রেখে আনুসাঙ্গিক আমল যতটুকু করা যায় করবো। কিন্তু মূল আমল বাদ দিয়ে আনুসাঙ্গিক আমল করা যাবে না। ওটা মূল্যহীন। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে এই কথাগুলোর উপর আমল করার তাওফীক দান করুন।
লেখক: ইমাম ও খতীব, দিউ বায়তুস সালাম জামে মসজিদ, ফুলপুর ও প্রিন্সিপাল, দারুল ইহসান কাসিমিয়া (এক্সিলেন্ট) মাদরাসা।