কাজী আব্দুল্লাহ: রজব ইসলামিক ক্যালেন্ডারের তালিকাভুক্ত ১২ মাসের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস। এ মাসে বিভিন্ন পুণ্য ও গুরুত্বপূর্ণ দিন রয়েছে।
রজবের গুরুত্বপূর্ণ কিছু দিবস:
১ই রজব: মুহাম্মদ আল-বাকিরের জন্মবার্ষিকী।
৩ই রজব: আলী আল-নাকী ও ওয়েস আল-করোনির মৃত্যুবার্ষিকী।
৫ই রজব: আলী আল-নাকীর জন্মবার্ষিকী।
৬ই রজব: খাজা মইনউদ্দিন চিশতী রহ. এর মৃত্যুবার্ষিকী।
৯ই রজব: আলি আল-আসগরের জন্মবার্ষিকী।
১২ই রজব: মুহাম্মদ আল-তাকির জন্মবার্ষিকী।
১৩ই রজব: আলী ইবনে আবি তালিব রা. এর জন্মবার্ষিকী।
১৫ই রজব: জয়নব বিনতে আলী রা. এর মৃত্যুবার্ষিকী।
২০শে রজব: সাকিনা বিনতে হুসাইন রা. এর জন্মবার্ষিকী।
২৫শে রজব: মুসা আল-কাদিমের মৃত্যুবার্ষিকী।
২৬শে রজব: আবু তালিব ইবনে আবদুল মুত্তালিবের মৃত্যুবার্ষিকী।
২৭শে রজব: শবে মেরাজ।
রজব মাসের তাৎপর্যঃ
১. আলী ইবনে-আবী তালিব রহ. ১৩ই রজব জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ছিলেন ইসলামের ইতিহাসে একজন সাহসী বীর। ইসলামে তিনিই প্রথম যুবক যিনি মুহাম্মাদ সা. কে আল্লাহর সর্বশেষ নবী হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। আলী রা. ছিলেন মুহাম্মদ সা. এর চাচাতো ভাই এবং জামাতা। তিনি ইসলামের চার খলিফার একজন হিসাবেও নির্বাচিত হয়েছিলেন।
২. ইসরা ও মিরাজের রাত, মুহাম্মদ সা. এর আরশে আজীমে সফর: এটি ইসলামী ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা। ২৭ রজব রাতে ইসরা ও শবে মেরাজের রাত হয়েছিল। আল্লাহর দিদার লাভ করেছিলেন শেষ নবী হুজুরে পাক সা.। এ রাতেই মুসলমানদের উপর ৫ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়।
৩. রোজা: আমরা প্রায়শই শুনি যে রমজানে রোজার সর্বাধিক সওয়াব রয়েছে। তবে রজব মাসের রোজা আপনাকে আরও বেশি সওয়াব দিতে পারে।
৪. রজবের গুরুত্ব: আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, এ পবিত্র মাসে সদকা করলে অতিরিক্ত সওয়াব রয়েছে।
এসব দিবস ও তাৎপর্যের কারণে এই মাসকে ইসলামী ক্যালেন্ডারে তালিকাভুক্ত করা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাস হিসেবে অভিহিত করা হয়।
এমডব্লিউ/