আওয়ার ইসলাম: শীতের সময়ে অনেক কারণে নাক বন্ধের সমস্যা হয়ে থাকে। দেখা যায়, কিছু সময় নাকের একদিক বন্ধ থাকে। তবে ঠাণ্ডা লাগার কারণে নাক দিয়ে সর্দি ঝরে, নাকে গন্ধ ঠিক মত পাওয়া যায় না অনেক সময়। অনেক সময় নাকে দুর্গন্ধ হয়। এছাড়া, নাক দিয়ে শ্বাস নিতে না পারার কারণে রোগী নাক ডাকে, ঘুমের মধ্যে মুখ শুকিয়ে যায়। খুশখুশে কাশি ও রোগী কানে কম শোনে।
এই রোগীদের নাকের হাড় অনেক সময় বাঁকা থাকে। নাকের পর্দা একদিকে বেঁকে যেতে পারে বা দুদিকেই বেঁকে যায়। এর সঙ্গে নাকের ভেতরে অ্যালার্জি বা ইনফেকশন বা পলিপ থাকতে পারে।
নাকের হাড় বাঁকা থাকলে এবং তা সমস্যার সৃষ্টি করলে অপারেশনের মাধ্যমে ঠিক করে নিতে হয়। এর সঙ্গে সাইনাস বা কানের সমস্যা থাকলে সে সমস্যারও একই সঙ্গে সমাধান করে নেয়া দরকার।
সমস্যার ক্ষেত্রে যেদিকে বাঁকা, সেই পাশে রোগীর শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। বাঁকা অংশের রাস্তা সরু থাকে এবং এর ফলে মাথাব্যথা হতে পারে। মাথাব্যথার সাথে সর্দির মতো তরল পদার্থ বের হতে পারে। এর পাশাপাশি হাঁচি হয়। এ ছাড়া গলার মধ্যেও অস্বস্তিবোধ হয়ে থাকে। দীর্ঘস্থায়ীভাবে কানে সমস্যা হয় এবং সাইনাসের সমস্যা হতে পারে।
এ রোগ কয়েক ধরনের হয়। কারো হয়তো নাকের বিভাজনের (পার্টিশনের) সামনের অংশ বাঁকা থাকে। কারো ইংরেজি সি অক্ষরের মতো বাঁকা হয়। আবার কারো ইংরেজি এস অক্ষরের মতো দুই পাশে বাঁকা হয়ে থাকে। কারো নাকের মধ্যবর্তী ভাগটি মোটা হয়ে যেতে পারে। অথবা কারো নিচের দিকের কিছু অংশ বাঁকা থাকে অর্থাৎ অস্থি এবং তরুণাস্থির সংযোগস্থল বাঁকা হয়।
আর অপারেশনের ক্ষেত্রে সাধারণত দুই ধরনের অপারেশন করা হয়। বয়স ভেদে অপারেশনের ভিন্নতা রয়েছে। রোগীর হাড় কী পরিমাণ বাঁকা তার ওপর নির্ভর করে অপারেশন হয়। এ ক্ষেত্রে সেপটোপ্লাস্টি নামে এক ধরনের অপারেশন আছে। এটা আট বা দশ বছরের পর যেকোনো বয়সে করা যায়।
আর যদি রোগীর হাড় বেশি বাঁকা থাকে তাহলে, এসএমআর অপারেশন করা হয়। এতে তরুণাস্থি ও অস্থি সম্পূর্ণ ফেলে দেওয়া হয়। নাকের আকার যদি বেশি খারাপ হয়ে থাকে, তাহলে এন্ডোব্লাস্টিও করা হয়। অনেকের ধারণা, অপারেশন করলেও রোগটি আবার হতে পারে। তবে ধারণাটি সঠিক নয়। ভালোভাবে অপারেশন করা হলে রোগী অবশ্যই ভালো হয়। অনেকে মনে করে, এই অপারেশনে হয়তো নাকের মাংস কেটে ফেলা হয়। এই ধারণটিও ভুল। এ ক্ষেত্রে নাকের মাংস সম্পূর্ণ কাটা হয় না। অপারেশন ছাড়া অন্য কোনো ওষুধ খেলে এ রোগ ভালো হয় না।
এমডব্লিউ/