সাইমুম সাদী।।
কিছুক্ষণ আগে মাওলানা আবদুল খালিক শরিয়তপুরীর পিতা জনাব আবদুল জলীল এবং শরিয়তপুরী সহ বসেছিলাম রায়েরবাগে একটি বাসায়। পিতার প্রতি সন্তানের আনুগত্য এবং সন্তানের প্রতি পিতার মায়াভরা চাহনি আবেগাপ্লুত করলো উপস্থিত সবাইকে কিছুক্ষণের জন্য।
বক্তা শরিয়তপুরীর পিতার দুরবস্থার একটি ছবি দুদিন যাবত সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরাফেরা করছিলো। এমতাবস্থায় শরিয়তপুরী পিতাকে নিয়ে আসেন নিজের কাছে এবং যেভাবেই হোক আপন পিতার মন জয় করার চেষ্টা করেন আলহামদুলিল্লাহ।
কথা বলে যতটুকু জেনেছি আভ্যন্তরীণ ভুল বোঝাবুঝি এবং মান অভিমানের কিছু ব্যাপার-স্যাপার ছিলো। এক্ষেত্রে তার মায়ের কিছু ভুমিকা রয়েছে। শরিয়তপুরী নিজেই বললেন, তারপরও আমি তাদের সন্তান। তাদের পায়ের নিচে আমার মাথা এবং এই বলে সকলের সম্মুখেই বাবার কাছে বারবার ক্ষমা চান তিনি।
সিদ্ধান্ত হলো পরবর্তীতে বাবা মায়ের প্রতি মাসের খরচের টাকা নিয়মিত মাসের প্রথম সপ্তাহে দিবেন এবং বাবার কিছু দেনা আছে তা পরিশোধ করবেন৷ শরিয়তপুরী আমাদের সামনেই দেনার টাকা বাবার কাছে দিয়ে দেন। এবং মা বাবার নিজেদের মধ্যকার গন্ডগোল যাই হোক তিনি সেখানে কোনো হস্তক্ষেপ করবেননা এমন প্রতিশ্রুতি দেন।
আমি এবং সবার খবর পত্রিকার সম্পাদক আবদুল গাফফার ভাইয়ের কাছে উনার বাবার ফোন নাম্বার দেওয়া হয় এবং সিদ্ধান্ত হয়, যেকোনো সমস্যায় উনার বাবা আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন। মিডিয়ায় এ ব্যাপারে নিয়ে কথা বলবেননা। পাশাপাশি নেক নিয়তে সোশ্যাল মিডিয়ায় আরিফ জাব্বার ভাই এ নিয়ে যে পোস্ট করেছেন তাকেও ধন্যবাদ জানানো হয়।
শরিয়তপুরী সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন যাতে আল্লাহ তাকে মা বাবার সঠিকভাবে খেদমত করার তাওফিক দান করেন। যতদিন শরিয়তপুরী মা বাবার খেদমত সঠিকভাবে করবেন আমরাও তার সাথে থাকব।
শেষ সময়ে একটা ছবি তুললাম তার ও তার বাবার। বাবাকে জড়িয়ে ধরে সন্তান আবদুল খালিক শরিয়তপুরী একটু আদর খুজছে মনে হলো।
দুনিয়ার সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য হচ্ছে বাবার শরীরের সাথে সন্তানের শরীর একাকার করে সময় অতিবাহিত করা। এই সুন্দর মুহুর্তে ক্যামেরাবন্দী হলাম আমরাও।
-কাউসার লাবীব