আতাউর রহমান মারুফ: গত মাসের আজকের দিনে (১৫ ডিসেম্বর’২০) হেফাজত মহাসচিব নির্বাচিত হোন আমাদের হুজুর আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী রহ.। চট্টগ্রামের কাউন্সিল শেষে মাদরাসায় যখন ফিরেন তখন ঘড়ির কাটায় রাতের ৯ টা। বরাবরের ন্যায় পেছনের গেট দিয়ে গাড়ি প্রবেশ করে। ছাত্ররা হুজুরের গাড়িকে ঘিরে মুহুর্মুহু শ্লোগান তুলে- ‘হেফাজতের মহাসচিব, আল্লামা কাসেমী’, ‘বীর সেনানী, বীর সেনানী, আল্লামা কাসেমী’, ‘কাসেমী’র আগমন, শুভেচ্ছার স্বাগতম’।
এ ধরণের আরো কত কত শ্লোক! গাড়ি ছেয়ে গিয়ে ছিলো গোলাপের হাজারো পাঁপড়িতে। সবাই ভেবেছিলো ‘কাসেমীর এক নতুন যুগের সূচনা হলো হয়তো’.. হ্যাঁ, তা ঠিক! তার ২৮ দিনের মাথায় এসে সূচনা তো নতুন যুগেরই হলো! সেই যুগ অনন্তের যুগ। যার কোন শেষ নেই! কোন সীমানা নেই!
মাত্র ২৮ দিনের দিন সেই একই গেট দিয়ে হুজুর মাদরাসায় ঢুকলেন। তবে নিজের সাদা ধবধবে প্রাইভেট কারটিতে নয় ; আল মারকাজুলের লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্সে করে। জীবিত কাসেমী নয়; চিরনিদ্রায় শায়িত কাসেমী! ছাত্র উসতাজদের কান্না! অঝোর ধারার কান্না! কে কাকে শান্ত্বনা দেবে! সবাই তো পিতৃহারা! কীভাবে যে কি হয়ে গেলো! চোখের সামনে দিয়ে হারিয়ে গেলো সব! কিছুই বুঝতে পারলামনা! কত কত সাজানো বাগান ছিলো তাঁর! কি হবে ওগুলোর এখন! কার মুখের দিকে তাকাবো আমরা? কার দরস নেয়ার জন্য মুখিয়ে থাকবো আমরা? কিছুই বুঝিনা। কিছুই না!
লেখক: শিক্ষার্থী, বারিধারা মাদরাসা
এমডব্লিউ/