জহির উদ্দিন বাবর।।
বরেণ্য শাইখুল হাদিস, আদর্শ শিক্ষক, অভিজ্ঞ রাজনীতিক, উম্মাহর আধ্যাত্মিক রাহবার, একজন সফল মানুষÑএ ধরনের নানা পরিচয়ে তিনি পরিচিত ছিলেন। দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তের মানুষেরা তাঁকে চিনতো-জানতো। গত কয়েক দশক ধরে ইসলামি অঙ্গনের প্রতিটি বাঁক বদলের সঙ্গে তিনি ওৎপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। উলামায়ে কেরামের ঐক্যবদ্ধ প্রায় সব কাজেই তাঁর উপস্থিতি লক্ষ করা যেতো। ইলমি যোগ্যতা, অসামান্য ব্যক্তিত্ব ও দূরদর্শী চিন্তাধারার কারণে তিনি সমসাময়িকদের মধ্যে একটি বিশেষ অবস্থান গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন। কর্মের ময়দানে বিরামহীন পথচলা তাঁকে জাতির অন্যতম অভিভাবকের আসনে আসীন করে। যোগ্যতা ও ব্যক্তিত্ব দিয়ে তিনি গোষ্ঠী-বলয়, দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে বিকল্পহীন রাহবারে পরিণত হন। কিন্তু আফসোস, তাঁর প্রতি প্রত্যাশার পারদ যখন শুধুই বাড়ছিল ঠিক সেই মুহূর্তে চরমভাবে হতাশ হতে হলো জাতিকে। চলে গেলেন দেওবন্দি চেতনার সিংহপুরুষ, লাখো আলেমের আদর্শের ঠিকানা আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী রহ.।
তাঁর জীবনের ব্যাপ্তি প্রায় পৌনে এক শতাব্দীকাল। কর্মের পরিধি অর্ধশতাব্দীর বেশি। তিন দশকের বেশি সময় তিনি জাতীয় পর্যায়ের ইসলামি ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত ছিলেন। জাতীয় পর্যায়ের নানা সংকট ও ইস্যুতে তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে। বিভিন্ন প্রতিকূল মুহূর্তেও তিনি নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করেননি। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে ইচ্ছে করলে আয়েশি জীবনযাপন করে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে পারতেন। কিন্তু তাঁকে দেখা গেছে হুইল চেয়ারে বসেও আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যেকোনো অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। দাওয়াতি কাজে ছুটে বেড়িয়েছেন দেশ-বিদেশে। উম্মাহকে নিয়ে ভেবেছেন অনবরত। প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য নানা চাপ উপেক্ষা করেও নীতির প্রশ্নে অটল থেকেছেন। তাঁর এই সংগ্রাম-সাধনা ব্যক্তিগত কোনো চাওয়া-পাওয়ার জন্য নয়; একান্তই দীনের খাতিরে। দীন প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনে যখন যেটা করা দরকার সেটাই তিনি করেছেন।
‘কাসেমী কানন’ খ্যাত দারুল উলুম দেওবন্দের সন্তান হিসেবে তাঁর ভূমিকা ছিল অনন্য। দেওবন্দি চেতনার প্রকৃত ধারক-বাহক ছিলেন তিনি। বহুমুখি প্রচেষ্টার মাধ্যমে দীনকে বিজয়ী জীবনব্যবস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার যে দীক্ষা তিনি দেওবন্দ থেকে পেয়েছিলেন তার ওপর গোটা জীবন অটল ছিলেন। এজন্য দেশে হাজারও ‘কাসেমী’ থাকা সত্ত্বেও তিনিই একমাত্র ‘কাসেমী’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। উপমহাদেশের স্বাধীন আন্দোলনের সিংহপুরুষ, শায়খুল আরব ওয়াল আজম হজরত হোসাইন আহমদ মাদানী রহ.-এর জীবনাদর্শ অনুসরণের কারণে কেউ কেউ তাঁকে ‘বাংলার মাদানী’ হিসেবেও আখ্যায়িত করে থাকেন। আল্লামা কাসেমী রহ. সত্যিকার অর্থেই মাদানী চিন্তা-চেতনার ধারণ ছিলেন। সেই চিন্তার বিস্তার ঘটাতেই জীবনভর তিনি সচেষ্ট ছিলেন।
দেশের যেসব শীর্ষ আলেমের নাম শুনলে সব মহলের মানুষের মধ্যে ভক্তি ও শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ লক্ষ্য করা যায় তাদের একজন ছিলেন আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী রহ.। রাজনীতি ও চিন্তাগত ভিন্নতার কারণে হয়ত সবার কাছে তিনি সমানভাবে গ্রহণযোগ্য ছিলেন না। কিন্তু যোগ্যতা, ব্যক্তিত্ব ও অবদানের প্রশ্নে তাঁকে খাটো করে দেখার মতো দুঃসাহস কারও হতো না। সর্বজনমান্য একজন বুজুর্গ আলেম হিসেবে পরিচিতি ছিল সর্বমহলে। এমনকি বিরোধী বলয়ের রাজনীতিকদেরও তাঁর সম্পর্কে কখনও বিরূপ কোনো মন্তব্য করতে দেখা যায়নি। রাজনীতির ময়দানে বিরোধীরা পর্যন্ত তাঁকে সমীহ ও মূল্যায়ন করতো। তিনি তাঁর যোগ্যতা ও ব্যক্তিত্ব দিয়ে রাজনীতির ঊর্ধ্বে একজন মানুষে পরিণত হয়েছিলেন।
জীবনের অন্তত শেষ দুই যুগ তিনি অভিভাবক-আলেমের পর্যায়ে ছিলেন। যেকোনো সংকটে জাতি যাদের দিকনির্দেশনার দিকে তাকিয়ে থাকতো আল্লামা কাসেমী রহ. ছিলেন তাদের অন্যতম। বিশেষ করে পরপর বেশ কয়েকজন মুরব্বি আলেমের বিদায়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন সবার আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক। মাত্র কয়েক মাস আগে আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ.-এর ইন্তেকালের পর তিনি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হন। বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সিনিয়র সহসভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর পদাধিকার বলে আল হাইয়্যাতুল উলয়া লিলজামিয়াতিল কওমিয়ারও কো-চেয়ারম্যান হন। কিছুদিন পর হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব পদেও অধিষ্ঠিত হন। এই পদগুলোর ওজন বহন করার মতো ব্যক্তির সংখ্যা হাতেগোনা। এসব পদে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী রহ. এতোটাই যথোপযুক্ত ছিলেন যে, এটা নিয়ে কাউকে ‘টু’ শব্দটিও উচ্চারণ করতে শোনা যায়নি। এটাই প্রমাণ করে তিনি জাতির কাছে কতটা গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছিলেন।
দুই.
উপমহাদেশের ইলমি মারকাজ দারুল উলুম দেওবন্দের মেধাবী শিক্ষার্থীদের একজন ছিলেন আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী রহ.। তিনি যখন দেওবন্দে পড়াশোনা করেন তখন সেখানে পেয়েছিলেন যুগশ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের। তাদের নুরানি সান্নিধ্য ও বলিষ্ঠ তত্ত্বাবধানে আল্লামা কাসেমী হয়ে উঠেছিলেন এই ইলমি কাননের যোগ্য উত্তরসূরি। শুধু কিতাবি জ্ঞানই নয়, দেওবন্দি চেতনাকে পুরোপুরি ধারণ করেছিলেন নিজের মধ্যে। এজন্য পরবর্তী সময়ে তাঁর প্রতিটি কর্মকাণ্ডে সেই চেতনার স্ফূরণ লক্ষ্য করা গেছে। বাংলাদেশে খাঁটি দেওবন্দি চেতনার ধারক-বাহকদের শীর্ষ পর্যায়ে ছিলেন তিনি। ইলম, আমল, তাজকিয়া, জিহাদ- দীনের সব অঙ্গনে সমান বিচরণ ছিল তাঁর। একজন সেরা মুহাদ্দিস হিসেবে খ্যাতিমান ছিলেন। ব্যক্তিগত আমল ও পরিশুদ্ধির দিক থেকে তিনি ছিলেন আকাবিরের প্রতিচ্ছবি। তাসাউফ ও তাজকিয়ার লাইনে তাঁর বিচরণ ছিল অনেক শীর্ষে। আদর্শহীন-বিপথগামী রাজনীতি ময়দানেও তিনি ছিলেন ব্যতিক্রম। নেতৃত্বের গুণ ও যোগ্যতার বিচারে সমকালের অনেকের চেয়ে তিনি এগিয়ে ছিলেন।
আল্লামা কাসেমী রহ.-এর সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি ছিলেন মানুষ গড়ার কারিগর। তাঁর হাতে গড়ে উঠেছেন অসংখ্য যোগ্য মানুষ। যার মধ্যে যে যোগ্যতা তিনি দেখতেন তাকে সেই অঙ্গনে যোগ্য করে তোলার চেষ্টা চালাতেন। ছাত্র, শিষ্য ও অনুরাগীদের পৃষ্ঠপোষকতার ক্ষেত্রে তাঁর জুড়ি মেলা কঠিন। শুনেছি সেই আশির দশক থেকে ছাত্ররা তাঁকে স্বপ্নপুরুষ হিসেবে গণ্য করে আসছে। ছাত্রদের সুযোগ্য করে গড়ে তোলার প্রাণান্তকর চেষ্টা ছিল তাঁর মধ্যে। রাজধানী ঢাকার ফরিদাবাদ, মালিবাগ, বারিধারা, চৌধুরীপাড়ার মতো সেরা মাদরাসাগুলোতে পড়ানোর সুবাদে সারাদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে তাঁর হাতেগড়া ছাত্ররা, যারা আজ নানা অঙ্গনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। একজন ‘ছাত্র-অন্তঃপ্রাণ’ শিক্ষক হিসেবে তাঁর ব্যাপক খ্যাতি রয়েছে। যারা তাঁর কাছে পড়েছেন কেউ তাঁকে কোনোদিন ভুলতে পারেনি। অগণিত শিক্ষকদের মধ্যে তিনি সেরা শিক্ষকের মর্যাদা ও সম্মান পেতেন শিক্ষার্থীদের কাছে।
আল্লামা কাসেমী রহ.-এর কাছে পড়ার কিংবা তাঁর ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্য লাভের সুযোগ আমার হয়নি। তবে ছাত্রদের মুখে নানা গল্প শুনে দিন দিন তাঁর প্রতি মুগ্ধতা শুধু বেড়েছেই। তিনি ছাত্রদের আদর করে ‘বাজি’ (বাবাজি অর্থে) ডাকতেন। এতেই বোঝা যায় তিনি ছাত্রদের প্রতি কতটা আন্তরিক ছিলেন। তাঁর এই সম্বোধনে ছাত্ররা মুগ্ধ না হয়ে পারত না। এজন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকারেও প্রস্তুত থাকত। একজন ছাত্রকে কীভাবে যোগ্য করে গড়ে তোলা যায় সেই পদ্ধতি তাঁর জানা ছিল। অগণিত ছাত্রকে তিনি তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন। পরবর্তী সময়ে সেই ছাত্ররা আলোকিত করেছেন নানা অঙ্গন। ছাত্রদের শুধু পড়াশোনাকালে তত্ত্বাবধান করতেন এমনটাই নয়, তিনি পরবর্তী সময়েও ছাত্রদের খোঁজখবর রাখতেন, তাদের প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা করতেন। শুনেছি বারিধারা মাদরাসায় তিনি স্বতন্ত্র মেহমানখানা গড়ে তুলেছিলেন ফারেগ ছাত্রদের জন্য। যারা সুবিধাজনক খেদমত পায়নি তাদেরকে সেখানে খাওয়া-থাকার সুযোগ দিতেন। দেশের অগণিত মাদরাসার পৃষ্ঠপোষক ও মুরব্বি ছিলেন তিনি। সেখানে নিজের যোগ্য ছাত্রদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিতেন। তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ও যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন এমন কেউ সাধারণত বেকার থাকতেন না। এই মহৎ গুণটি আল্লামা কাসেমী রহ.-এর প্রতি তাঁর ছাত্র ও ভক্ত-অনুরাগীদের আরও বেশি আকৃষ্ট করে।
আল্লামা কাসেমী রহ.-এর প্রধান অঙ্গন ছিল হাদিসের মসনদ। ফারেগ হওয়ার পর থেকে তাঁর হাদিসের খেদমতে কোনো চ্ছেদ পড়েনি। জীবনের শেষ কয়েক বছর রাজনীতির অঙ্গনেও তাঁর সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। ঐতিহ্যবাহী একটি ইসলামি দলের মহাসচিব হিসেবে জাতীয় পর্যায়ের রাজনীতিতে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন। বিরোধী বলয়ের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে রাজনীতিতে তাঁর পথচলা খুব বেশি মসৃণ ছিল না। কিন্তু সব প্রতিকূলতা ডিঙ্গিয়ে তিনি নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে অবিচল থাকার চেষ্টা করেছেন। সত্য উচ্চারণে তিনি কখনও কুণ্ঠিত হননি। প্রচলিত ধারার অনেক রাজনীতিবিদের সঙ্গে রাজনীতি করলেও কথিত এই রাজনীতির কোনো স্বভাব-প্রকৃতি আল্লামা কাসেমী রহ.কে স্পর্শ করতে পারেনি। নানা রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিলেও হাদিসের মসনদে ছিলেন সক্রিয়। বিভিন্ন দীনি প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ভার ছিল তাঁর কাঁধে। তালিম-তাজকিয়ার লাইনে সামান্যও ব্যাঘাত ঘটতে দেননি। বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যাকে সঙ্গী করে হুইল চেয়ারে বসেই তিনি সবকিছু আঞ্জাম দিয়েছেন। তাঁর লৌকিকতাহীন সাদাসিধে কথাগুলোই ক্ষমতার উচ্চ মহলে কড়া নাড়ত। তাঁর সহজ-সরল বাচনভঙ্গিই কাঁপিয়ে দিতো বাতিলের মসনদ।
ব্যক্তিজীবনে সারল্য ছিল তাঁর প্রধান বৈশিষ্ট্য। তাঁর আখলাকের সৌন্দর্যের কথা মুখে মুখে প্রচলিত। অসাধারণ এক ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। নীতি-আদর্শের প্রশ্নে ছাড় না দেওয়ার মতো চারিত্রিক দৃঢ়তা তাঁকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছিল। সততা ও ন্যায়নিষ্ঠা ছিল তাঁর জীবনের প্রধান পুঁজি। অতি সাধারণ জীবন-যাপন করতেন। রাজধানীর অভিজাত এলাকায় বসবাস করলেও তাঁর লাইফ স্টাইল ছিল একজন নিভৃতচারী বুজুর্গের মতো। উঠাবসা, চলাফেরা, আমল-আখলাকে তিনি আমাদের আকাবিরের কথাই স্মরণ করিয়ে দিতেন। মানবিক দুর্বলতার ঊর্ধ্বে ছিলেন না, কিন্তু চারিত্রিক মন্দ দিকগুলো থেকে যথাসম্ভব বেঁচে থাকার চেষ্টা করতেন এবং অন্যদেরও উদ্বুদ্ধ করতেন। শুনেছি, তাঁর সামনে কেউ অন্যের কুৎসা বা গিবত করতে পারতো না। কারও মুখে গিবত শুনলে প্রচণ্ড রাগ করতেন। শরিয়ত পরিপন্থী কোনো বিষয় দেখলে যে কেউ হোক প্রতিবাদে পিছপা হতেন না। অবক্ষয় ও স্খলনের এই যুগে তিনি নিঃসন্দেহে সত্যিকারের একজন নায়েবে নবী এবং অনুসরণীয় রাহবার ছিলেন। মানুষের কাছে তাঁর জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা কতটা ছিল সেটার প্রকাশ ঘটেছে শেষ যাত্রায়। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত তাঁর জানাজাটি স্মরণকালের অন্যতম বৃহৎ জানাজা। কীর্তিময় জীবনের অধিকারী দেশের শীর্ষ এই আলেমে দীনের প্রস্তান ঘটেছে বটে, তবে তিনি কোটি মানুষের হৃদয়ে স্মরণীয়-বরণীয় হয়ে থাকবেন বহুকাল।
খুবই বেদনার একটি বছর দুই হাজার বিশ। বছরের শুরুর দিন থেকে নিয়ে একের পর এক বড় বড় আলেম বিদায় নিয়েছেন চলতি বছরে। সারা জাতির কাছে পরিচিত শীর্ষ পর্যায়ের এমন ১০/১৫ জন আলেম ইন্তেকাল করেছেন এ বছর। অতীতে আর কখনও এতো অল্প সময়ের ব্যবধানে এতো বড় বড় আলেমের চলে যাওয়ার ইতিহাস সম্ভবত নেই। বিষয়টি আমাদের জন্য খুবই শঙ্কার। জাতির জন্য এটি অশনিসংকেতও বটে। শীর্ষ আলেমদের কাতার এভাবে রাতারাতি শূন্য হয়ে যাওয়া আমাদের জন্য ভয়াবহ বার্তা বহন করছে। আল্লাহ আমাদের ওপর বিশেষ রহম না করলে আমরা এমন ক্ষতির মুখে পড়বো যা কাটিয়ে উঠা আর কখনোই সম্ভব হবে না। আল্লাহ এ জাতির ওপর সহায় হোন- কায়মনোবাক্যে সেই প্রার্থনাই জানাই।
লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরাম
-এটি