শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল কুরআন-সুন্নাহর আইন ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না : মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী শীত ও শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস ফ্যাসিবাদ বারবার ফিরে আসবে, সতর্ক থাকতে হবে: গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা

শীতে হোক শিশুর বাড়তি যত্ন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

।।খাদিজা ইসলাম।।

ঋতুর রাজ্যে শীত একটি ঋতু। হাড়কাঁপানো এ ঋতুতে যেখানে পূর্ণ বয়স্ক মানুষ আবহাওয়ার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেনা। চলতে ফিরতে কষ্ট হয়। সেই আবহাওয়ায় বাচ্চাদের অতিরিক্ত যত্ন তো নিতেই হবে। যত্নের কোনো রকম ত্রুটি হলে শিশুদের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকে। তাই আসুন জেনে নিই কীভাবে শীত মৌসুমে শিশুদের যত্ন নেওয়া যায়-

প্রাথমিক যত্ন:  শীতে শিশুদের বিশেষ যত্ন নিতে বলা হয়েছে। শীতকালে মূলত শিশুরা সর্দি, কাশি,গলাব্যথা,জ্বর,নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়। আবহাওয়া শুষ্ক থাকার কারণে মূলত শিশুরা  এসব রোগে আক্রান্ত হয়।তাই অভিভাবকের উচিত ঠান্ডা বাতাস এবং ধুলাবালি থেকে শিশুদের দূরে রাখা। তাদের গামছা,তোয়ালে,আলাদা হওয়া উচিত। (আল-আমিন মৃধা,অধ্যাপক,শিশু ওস্বাস্থ্য বিভাগ,সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ)

গোসলের ক্ষেত্রে সতর্কতা: গোসলের আগে শিশুদের সরিষার তেল ব্যবহার না করে অলিভ ওয়েল বা জলপাই তেল ব্যবহার করা ভালো।গোসলের পর বেবি লোশন ব্যবহার করা যেতে পারে সপ্তাহের দু থেকে তিনদিন সাবান এবং শ্যাম্পু ব্যবহার করা যেতে পারে।

শিশুকে আরামে সাজান: শিশুকে সবসময় মোটা সোয়েটার, গ্লাভস,মোজা,টুপি ইত্যাদি পড়িয়ে রাখলে সে বিরক্ত বোধ করে।তাই তাপমাত্রার দিকে খেয়াল রেখে পোশাক নির্বাচন করা উচিত।

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার: শীতকালে শিশুকে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাদ্যতালিকায় রাখুন। যেমন- কমলা, মালটা, লেবু, আমলকি ইত্যাদি। চিবিয়ে খেতে না পারলে জুস বানিয়ে খাওয়ান।

ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন: আপনার শিশুর ত্বককে নরম ও কোমল রাখতে একটি ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। শিশুর ত্বকের জন্য তৈরি করা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এটি শিশুর ত্বকের আভা ও গঠন বজায় রাখতে সহায়তা করে।

শিশুকে ম্যাসেজ করুন: আপনার শিশুকে ভালো করে ম্যাসেজ করুন। ম্যাসেজ করার ফলে দেহের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়।ম্যাসেজ করার জন্য ভালো ম্যাসেজের তেল ব্যাবহার করুন।

ঘরে একটি হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন: আপনি যদি শীতল প্রধান এলাকায় থাকেন তবে আপনার শিশুর ঘরে একটি হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করা জরুরী। এর বাতাসও আপনার সন্তানের ত্বককে শুষ্ক করে তুলবে।

রাতে শিশুর জন্য বাড়তি সতর্কতা: শীতের শেষ রাতে প্রচুর ঠান্ডা থাকে তাই শিশুর জন্য অতিরিক্ত কাঁথা বা কম্বল সাথে নিয়ে ঘুমানো উচিত যাতে করে তার ঠান্ডা না লাগে।

ভারী কম্বল ব্যবহার করবেননা: বাচ্চা কে উষ্ণ করার জন্য ভারী কম্বল ব্যবহার করলে বিপদ ও ঘটতে পারে। হাতপা নাড়াচাড়া করলে মুখে কম্বল এসে পড়লে শ্বাস বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই উচিত হালকা কম্বল ব্যবহার করা

অতিরিক্ত ঠান্ডায় যা করনীয়: ঠান্ডায় নাক বন্ধ হয়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ন্যাজাল ড্রপ ব্যবহার করা উচিত।সর্বোপরি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।

বিভিন্ন রোগ ভোগ থেকে রক্ষা করতে শিশুদের তাই বাড়তি যত্ন নেয়া উচিত। বাড়তি যত্ন আর নজরেই শিশু সুরক্ষা থাকবে।

লেখক- শিক্ষার্থী সম্মান ২য় বর্ষ বাংলা, সরকারী তিতুমীর কলেজ।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ