আবদুল্লাহ আফফান
সাব এডিটর>
আজ রোববার রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে আল্লামা নূর হুসাইন কাসেমীকে দেখতে এসে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির হাফেজ আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, আমাদের একজন বড় হস্তি, মুখলেস, নিষ্ঠাবান আলেমে দীন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আমরা খুব মর্মাহত, পেরেশান। আল্লাহ তায়ালা যেটা করে সেটার উপর রাজি থাকতে হবে।
ভাই মৃত্যু সকলের জন্য আছে। তবে আমাদের চেষ্টা করতে হবে। মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী সাহেবের মতো হওয়ার জন্য। আমি অনেক দিন ধরে ওনাতে মুতায়ালা (পর্যবেক্ষণ) করছি। তার হালাত-অবস্থা দেখছি। ওনার জিন্দেগীতে কোন দাগ নেই। তিনি হক কথা বলেতে দ্বিধা করেন না। অনেক চাপের মধ্যে দিয়েও তিনি হকের উপর অটল আছেন।
তার এই দৃঢ়তার কারণে তার থেকে তার ভক্তরা শিক্ষা পেয়ে গেছে। তার বড় শিক্ষা হলো- ‘হকের উপর অটল থাকা। তুফান আসবে, ঝড়-ঝাপ্টা আসবে তারপরেও হক থেকে একটুল পরিমান পিছপা হবো না।’
এটাই আমাদের নীতি, এটাই তার নীতি। এখান থেকে শিক্ষা লাভ করতে হবে। কাসেমী সাহেব সবসময় দুনিয়াতে থাকবেন না। আমিও থাকব না। তিনি কখনো বাতিলের কাছে মাথা নত করেননি। আমরাও বাতিলের কাছে মাথা নত করব না। হকের উপর অটল হয়ে থাকব।
তিনি আরও বলেন, তার আরেকটা গুণ হলো লিল্লাহিয়াত। যা করেছেন আল্লাহর জন্য করেছেন। ঘর-বাড়ি, বিল্ডিং উদ্দেশ্য ছিল না। আমি আশ্চর্য হয়ে যাই, তার যোগ্য ছেলে জাবের কাসেমী। কেউ কেউ যখন বারিধারা মাদরাসার উস্তাদ হিসেবে জাবেরকে রাখার প্রস্তাব করেছে। তিনি মানা করে দিয়েছে।
এর মাধ্যমে তিনি স্বজনপ্রীতির মূল উৎপাটন করে দিয়েছেন। স্বজনপ্রীতির জন্য মূলত কাজ হচ্ছে না। এসব আমাদের নজরের সামনে রাখতে হবে। তিনি হযরত ওমর রা. এর ভূমিকা পালন করেছেন। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমরের সাথে হযরত ওমর রা. যে আচরণ করেছেন। তিনি জাবেরের সাথে এ আচরণ করেছেন।
-এএ