মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


জুমার দিনে সুরা কাহাফ পড়ার উপযুক্ত সময়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: কুরআনের ১৮ নম্বর সূরা ‘সূরা কাহাফ’। এটি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি সূরা, যা মক্কায় অবতীর্ণ হয়। এ সূরা তেলাওয়াত করা জুমার দিনের বিশেষ একটি আমল।

হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহাফ পাঠ করবে তার জন্য এক জুমা থেকে অপর জুমা পর্যন্ত নূর হবে।

হজরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, সে আট দিন পর্যন্ত সর্বপ্রকার ফেৎনা থেকে মুক্ত থাকবে। যদি দাজ্জাল বের হয় তবে সে দাজ্জালের ফিৎনা থেকেও মুক্ত থাকবে।

অন্য একটি রেওয়ায়েতে পাওয়া যায়, এক জুমা থেকে অপর জুমা পর্যন্ত তার সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। তবে উল্লিখিত গুনাহ মাফ হওয়ার দ্বারা সগিরা গুনাহ উদ্দেশ্য। কারণ ওলামায়ে কেরামের ঐকমত্য যে, কবিরা গুনাহ তওবাহ করা ছাড়া মাফ হয় না।

তবে জুমার দিন সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় কোনটি—এমন একটি প্রশ্ন অনেকের মনে আছে। এ বিষয়ে প্রখ্যাত দাঈ ও আরব শায়খ সালেহ আল মুনাজ্জিদ বলেছেন, সূরা কাহাফ জুমার দিন দিনে ও রাতে যেকোন সময়ই তেলওয়াত করা যেতে পারে। জুমার রাত শুরু হয় বৃহস্পতিবার সূর্যাস্তের পর থেকে এবং পরদিন সূর্যাস্তের পর জুমার দিন শেষ হয়। সুতরাং, এই সময়ের মধ্যে সূরা কাহাফ তেলওয়াত করা যেতে পারে। আল্লাহই উত্তম জ্ঞানের অধিকারী।’

আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে সূরা কাহাফ বেশি বেশি তিলাওয়াত করার তাওফিক দান করুন এবং এর মর্মার্থ বুঝে তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ ও ফজিলত অর্জন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ