শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘প্রকৃতপক্ষে ভুল হলে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আ.লীগ’ সিইসিসহ নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনাররা শপথ নেবেন রোববার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য হলেন মুন্সিগঞ্জের নিরব ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু বাজারে এলো ইনফিনিক্সের সবচেয়ে স্লিম স্মার্টফোন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন: বেঁচে ফেরার আশা করেনি সানিয়া মুসলিম কমিউনিটি কমলগঞ্জ উপজেলা শাখার কমিটি গঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন: অর্থের অভাবে অনেক আহতের হচ্ছে না চিকিৎসা কোটি টাকার সহায়তা নিয়ে ফিলিস্তিনিদের পাশে হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি ফরিদপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ‘কুরআন সবক অনুষ্ঠান’র উদ্বোধন

শীতে কবুতরের যতরোগ: সমস্যা ও সমাধান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কাউসার লাবীব: শীতে কবুতর বিভিন্ন সমস্যাতে ভুগে থাকে। এরমধ্যে ডাইরিয়া, চোখ ওঠা, পা অবস বা পেরালাইসিস, কারন ছাড়া ঝিমানো, সর্দি-কাশিতে ঘরঘর করা ও মুখ হা করে শ্বাস নেয়া অন্যতম। তবে এসব সমস্যায় ভয় পাবার কিছু নেই। কিছু পরামর্শ মেনে চললে আপনার কবুতর থাকবে আপনার মনের মতো। যেমন-

এক- খেয়াল রাখতে হবে যেন আপনার কবুতরের খাদ্যে পরিমান মতো তৈলবীজ থাকে,যেমনঃ বাজরা, তিসি, সরিষা, কুসুমবীজ, সূর্যমুখী বিচি ইত্যাদি।

দুই- খেয়াল রাখতে হবে যেন আপনার খামার স্যাঁতস্যাঁতে নয়, শুকনো থাকে। আর এজন্য আপনাকে প্রয়োজন হলে বরিকপাউডার ছিটাতে হবে; আর সম্ভব হলে ছোট একটুকরা কাপড়, পেপার, বা চট মাটিতে বিছিয়ে দিতে পারেন।

তিন- নিয়মিত ক্যালসিয়াম দিতে হবে, সাথে ভিটামিন ‘ই’ দিন, কারণ ভিটামিন ‘ই’ যোগ না করলে ক্যালসিয়াম বেশিমাত্রায় শোষিত হবে না কবুতরের শরীরে। মাসে ৩-৪ দিন দিতে হবে, যদি গরম বেড়ে যায় তবে এর মাত্রা কমিয়ে দিন।

চার- মাসে ২/৩ দিন আলাদাভাবে রসুন বাঁটা ১ লিটার পানিতে ২ চা চামচ মিক্স করে ছেকে সাধারন পানির মতো সরবরাহ করে দিন। এতে আপনার কবুতর সাল্মনিল্লামুক্ত থাকবে ও শরীরও উষ্ণ থাকবে।

পাঁচ- যদি কৃমির ঔষধ খাওয়ানো থাকে তাহলে মধু যোগ করতে পারেন এর সাথে।

ছয়- ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স দিন ৩-৪ দিন মাসে ও মাল্টি ভিটামিন দিন ৩-৪ দিন মাসে।

সাত- Calceria Curb 30 , ১ সিসি ১ লিটার পানিতে মিক্স করে দিতে হবে মাসে ১ বার। (রোগপ্রতিরোধ ও সর্দিকাশির জন্য)

আট- আক্রান্তক্ষেত্রে সর্দিকাশির জন্য Dulkamara 30, ৩ ফোটা করে অল্প একটু পানির সাথে করে দিতে হবে দিনে ৩/৪ বার। আক্রান্তক্ষেত্রে যদি সর্দিকাশির সাথে শরীর হালকা গরম থাকে, হা করে নিঃশ্বাস নেয়, তাহলে Rush Tox 30, ৩ ফোটা করে অল্প একটু পানির সাথে করে দিতে হবে দিনে ৩-৪ বার। আর নিয়মিত স্যালাইন দিবেন।

নয়- চোখে সমস্যার জন্য, যেমন- চোখে পেচুটি কাটা, চোখবন্ধ হয়ে যাওয়া, পানিপড়া ইত্যাদি কারনে cipro a or dexcholore eye drop দিতে হবে দিনে ৫-৬ বার। এছাড়াও Pulsetila 200, ৩ ফোটা করে অল্প একটু পানির সাথে করে দিতে হবে দিনে ২-৩ বার (যদি পুজ জমে ও চোখ বন্ধ হয়ে যায় তবে।) অথবা Merecurius Sol 30, ৩ ফোটা করে অল্প একটু পানির সাথে করে দিতে হবে দিনে ২ বার। ২-৪ দিন দিতে হবে। (যদি পানি পড়ে ও ফুলে থাকে)।

দশ- সর্দিকাশি, ডাইরিয়া ইত্যাদি ভাইরাস সংক্রামণ থেকে হয়, তাই অ্যান্টিবায়টিক কোন কাজে আসে না।

এগারো- কবুতরের জমানো খাবার ও গ্রিটে কোন মতেই যেন না ভেজে বা ফাঙ্গাস না ধরে, তাই অতিরিক্ত সাবধানতা হিসাবে হালকা গরম করে নিতে পারেন।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ