হুমায়ুন আইয়ুব।।
সকালের আলোটাও বেশ নরম। কিছুটা রোদেলা। জানালার ওপাশে একটুকরা বারান্দা। নিচে সবুজ ঘাস। দুটি ফুলের আড়াআড়ি বসে থাকা। কোলাহল ভেঙ্গে পাখিদের কিচিরমিচির আমাকে মুগ্ধ করেছে।
দীর্ঘ বিরতি; মায়ের কাছে যাওয়া হয় না! গ্রামের আলো-বাতাস শরীরে মাখি না! আপন মানুষ গুলোর আদরের ডাক শুনি না!
আজ যাবো। মায়ের কাছে। নানুর কাছে। নদীর কাছে। ফুলে ভরা গাছের কাছে । মাটির কাছে। যে মাটিতে আমি জন্মসূত্রের গন্ধ পাই। কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে আমার পৈতৃক বাস। গ্রামের নাম হিলচিয়া। ঘোড়াওদ্রা নদীর পাশে আমার গ্রাম।
নাম হিলচিয়া হলেও; গুরুই দৌলতপুরসহ আশপাশের অর্ধশত গ্রামের মোহনা হিলচিয়া বাজার। প্রাচীন এই বাজার ঘিরেই গড়ে উঠেছে আমাদের একটি শিক্ষা কার্যক্রম। শিশুদের মাদ্রাসা-হিলোচিয়া বাজার ইসলামিয়া মাদ্রাসা। এছাড়াও স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা কিন্টারগার্ডেন গড়ে উঠেছে।
তবে শিক্ষা-সংস্কৃতিতে দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। এখনো শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির ছোঁয়া তেমন লাগেনি। এলাকার শিশু-কিশোরদের বসবাস উপযোগী পরিবেশ তৈরি সময়ের দাবি। হিলচিয়া ও তার আশপাশে শিক্ষা বান্ধব পরিবেশ চাই। চাই সংস্কৃতি চর্চার উপায়-উপকরণ, খেলাধুলার মাঠ। শিল্প বান্ধব মানুষগুলো এগিয়ে এলে হিলচিয়া হবে শিক্ষা-সংস্কৃতি ও শিল্প-সাহিত্যের নগরী। শিক্ষার আলো, সংস্কৃতির চর্চা, প্রতিভা বিকাশের ব্যবস্থাপনা থাকলে শিশু-কিশোররা মাদকে জড়াবে না।
মদ- মাদকতা, শিশু-কিশোরদের পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হয় এমন কিছু থেকে সতর্ক থাকতে হবে! সতর্ক অবস্থান নেবেন সমাজের দায়িত্বশীলরা, নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, অভিভাবক, স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। হিলচিয়ায় মাদক নয়। সুস্থ ধারার সংস্কৃতিক নগরী গড়ে উঠুক।
লেখক : সম্পাদক, আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম