জাগ্রত কবি মুহিব খান। পাঠকের কাছে তাকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মতো কিছু নেই।তিনি একাধারে দেশের একজন জনপ্রিয় কবি, শিল্পী, সাংবাদিক, কলামিস্ট, টিভি আলোচক, উপস্থাপক, আবৃ্ত্তিকার, ক্যালিওগ্রাফার, ডিজাইনার, ইসলামি চিন্তাবিদ, রাজনৈতিক বিশ্লেষক।বর্তমানে তিনি ‘ইসলামিক কালচারাল ইন্সটিটিউট’ (আই সি আই)-এর প্রতিষ্ঠাতা প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন।
ইতোপূর্বে কবি মুহিব খান ছিলেন ইসলামিক টিভির প্রথম অনুষ্ঠান নির্বাহী ও পাঠক নন্দিত জাতীয় সাপ্তাহিক লিখনীর সম্পাদক। তার লেখার যাদুতে তিনি পাঠকের মন ছুয়েছেন অনেক আগেই।তার কবিতা ও সংগীত দেশপ্রেম, মানবতাবাদ, বিশ্ব-শান্তি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও জাতীয় সংহতির চেতনায় জাতিকে উদ্বুদ্ধ করে।নিজের লেখা কবিতাগুলো তিনি নিজ সুরের ভেলায় মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ভালবাসেন। সেই ভালবাসা থেকেই প্রকাশ করেছেন জনপ্রিয় এলবাম, ‘সীমান্ত খুলে দাও, দিন বদলের দিন এসেছে, মরু সাহারা, ইঞ্চি ইঞ্চি মাটি, ইয়ে মেরা ওয়াতান, আবার যুদ্ধ হবে, নতুন ইশতেহার আসছে, ও দাস্তান-ই মুহাম্মাদ'।
চতুর্মুখী প্রতিভার অধিকারী খ্যাতিমান এ কবি লেখালেখি, গবেষণা ও ব্যক্তিজীবন নিয়ে কথা বলেছেন আওয়ার ইসলামের এর আজকের ‘আলাপন’ বিভাগে। আলাপনে তাকে সঙ্গ দিয়েছেন, ‘কাউসার লাবীব’
কয়েকদিন আগে আলকুরআনের কাব্যনুবাদ লেখা শেষ হয়েছে আপনার।সামনে কোনো হাদিসগ্রন্থের কাব্যানুবাদ করার ইচ্ছে আছে ?
এখনো এনিয়ে কোনা চিন্তা করি নি। তবে আামার একটি সুন্নাহ বিষয়কগ্রন্থ আগামী বই মেলায় আসছে। নাম হবে ‘মেঘে ঢাকা সুন্নাত’।
কার লেখা পড়ে আপনার কবি হওয়ার ইচ্ছে জেগেছে?
আমি সহজাত কবি।যখন থেকে লিখতে শিখেছি তখন থেকেই কবিতা লিখি।কারো লেখা পড়ে কবি হই নি। আর আমি মনেকরি, কারো লেখা পড়ে, কোর্স করে বা প্রশিক্ষণ নিয়ে কবি হওয়া যায় না। এভাবে লেখক হওয়া যায়। সাংবাদিক হওয়া যায়। কিন্তু কবি হওয়া অসম্ভব।
‘কবি মুহিব খান ও শিল্পী মুহিব খান’ কোন ব্যক্তিটি আপনার বেশি প্রিয়?
শিল্পী বলে যদি আপনি সঙ্গীত শিল্পী বুঝিয়ে থাকেন, তাহলে বলবো আমি সঙ্গীত শিল্পী না। আমি আমার কবিতাগুলো শুধু নিজের মতো করে পাঠকের কাছে তুলে ধরি।যদি আমি শিল্পী হতাম তাহলে অন্যের লেখা গানও করতাম। কিন্তু আমি শুধু আমার কবিতাই গাই। যেমন করেছেন কাজী নজরুলসহ অনেক কবি। তারা যেমন নিজের কবিতা গাওয়ার কারণে শিল্পী হয়ে যায় নি। আমিও না।
‘লেখালেখি ও সঙ্গীত’ এ দুটির বাইরে কী করতে ভালবাসেন?
রাষ্ট্রচিন্তা ও ধর্মতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা এবং ভ্রমণ।
এবার কিছু প্রশ্ন করবো। এককথায় উত্তর দিতে হবে। প্রস্তুত?
হ্যাঁ।বলুন।
প্রিয় বই কোনটি?
নির্দিষ্ট কোন বই নেই।
সর্বশেষ কোন বই পড়েছেন?
সিরাতগ্রন্থ ‘আররাহিকুল মাখতুম’।
প্রিয় ক্বারী কে?
আবদুল বাসেত।
প্রিয় শিল্পী কে?
আমার প্রিয়শিল্পীদের একজন ‘সোহরাব হোসেন’।
সর্বশেষ যে সঙ্গীতটি শুনেছেন সেটি কার?
নুসরাত ফতেহ আলি খানের।
-এটি