শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


ফ্রান্সের ঘৃণ্য ধৃষ্টতা: প্রবাসী আলেমদের কঠোর নিন্দা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মহানবী সা. এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করায় কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত ১০১জন প্রবাসী আলেম।

এক যুক্ত বিবৃতিতে আলেমরা বলেন, কোন ধর্ম ও  ধর্মের নবীকে ব্যঙ্গ করা বাকস্বাধীনতা হতে পারে না। বাক স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে ইসলাম, মুসলমান এবং মুসলমানদের প্রাণের স্পন্দন বিশ্ব নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকেই ব্যঙ্গ করার জন্য টার্গেটে পরিণত করা হয়। এটা শুধুমাত্র ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষ ছাড়া আর কিছুই নয়। কোনোভাবেই এগুলো বাক স্বাধীনতার মধ্যে পড়ে না। বাকস্বাধীনতা অর্থ ঘৃণা ও বিদ্বেষ চর্চা নয়।

আলেমগণ বলেন, এমন ঘৃণ্য ব্যাঙ্গচিত্র প্রদর্শন করে ফ্রান্স বিশ্বের একশত ষাট কোটির অধিক মুসলমানদের হৃদয়ে সরাসরি আঘাত করেছে, আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে সকল মুসলমানের অন্তরে। এই ঘৃণ্য ও গর্হিত কাজের জন্য ফ্রান্সকে চরম মূল্য দিতে হবে। ফ্রান্সসহ পশ্চিমা বিশ্ব মুখে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতার বুলি আওড়ায় ঠিকই, কিন্তু তাদের দেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘু মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর নানান অজুহাতে চরম ঘৃণ্য হস্তক্ষেপ সবসময়ই করে চলে। মুসলিম মেয়েদের হিজাব পরতে না দেয়া, মসজিদ বন্ধ করে দেয়াসহ এমন বিদ্বেষ ও জঘন্য হস্তক্ষেপের মাধ্যমে তারা মুসলমানদের দাবিয়ে রাখতে চায়। কিন্তু তারা জানে না, আল্লাহর দ্বীনকে কখনো কেউ দমিয়ে রাখতে পারেনি এবং পারবেও না। আল্লাহর হাবিবের অসম্মান আল্লাহ তাআলা সহ্য করবেন না, অচিরেই ফ্রান্সকে এই উগ্র ও জঘন্য ধৃষ্টতার ফল ভোগ করতে হবে।

আলেমরা আরও বলেন, রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রপ্রধানের কাজ হলো দেশের সকল ধর্মের সম্মান অক্ষুন্ন রাখা ও সব ধর্মের অনুসারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সবার সাথে ন্যায় আচরণের মাধ্যমে। কিন্তু ফ্রান্সের উগ্র প্রেসিডেন্ট ঠিক তার উল্টোটাই করেছেন ধর্মীয় বিদ্বেষ উস্কে দিয়ে এবং রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিশ্বনবীর সা. এর ব্যঙ্গচিত্র কার্টুন প্রদর্শনের মাধ্যমে।

সরকার প্রধান এমন নীতিহীন উগ্র ও অসুস্থ জঘন্য মানসিকতার হতে পারে তা ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোকে না দেখলে বিশ্বাস হতো না। আমরা ফ্রান্স সরকারকে তাদের এমন জঘন্য উগ্র অসুস্থ মুসলিম বিদ্বেষ চর্চা থেকে ফিরে এসে বিশ্বের একশত ষাট কোটি মুসলমানের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে ধর্মীয় সহিষ্ণুতা বজায় রাখার জন্য আহবান করছি।

যারা বিবৃতি দিয়েছেন- শায়েখ সালাউদ্দীন জাহাঙ্গীর, লন্ডন। শায়েখ আব্দুল্লাহ আল হারুন, কুয়েত। মাও. সৈয়দ হাবিব উল্লাহ বেলালী, সৌদি আরব। শায়েখ তৈয়ব উল্লাহ নাসিম, সৌদি আরব। মাও. মীর আহমাদ মিরু, ওমান। মাও. মিজানুর রহমান, ওমান। মাও. তৈয়ব, সৌদি আরব। মুফতী জহিরুল ইসলাম, সৌদি আরব। শাযে়খ হাফেজ আইয়ুব, কুয়েত। শায়েখ আব্দুর রহমান জামী, কুয়েত। শায়েখ নুরুল ইসলাম, কুয়েত। মাও. সৈয়দ জামাল উদ্দিন, কুয়েত। মাও. গোলাম সারোয়ার সিরাজী, কুয়েত। শায়েখ এমদাদ উল্লাহ হেলালী, কুয়েত‌।

মাও. কাজী শফি আবেদীন, কুয়েত। মাও. আব্দুল মুমিন, কুয়েত। মাও. মুফতী আমিরুল ইসলাম, মালয়েশিয়া। মাও. মাসউদ উর রাহমান, মালয়েশিয়া। মুফতি মঞ্জুরুল ইসলাম, মালয়েশিয়া হাফেজ মাও. ভিপি বশির ইবনে জাফর, মালয়েশিয়া। মাও. সিরাজুল ইসলাম, মালয়েশিয়া। মাও. নূর উদ্দীন বীন আদিব, ওমান। মাও. ছাবের আহমাদ, ওমান। মাও. মোহাম্মদ হোছাইন, ওমান। মাও. আবুল হাসেম ফারুকী, ওমান।

মাও. ইবরাহীম, ওমান। মাও. মো. তৈয়ব, ওমান। মাও. এরফানুল হক চৌধুরী, ওমান। মাও. ওবায়দুল করিম, ওমান। মাও. শাহাদাত হোসাইন, ওমান। মাও. আজগর সালেহী, ওমান। মাও. সিরাজুল ইসলাম সিরাজী, ওমান। মাও. জাহাঙ্গীর আলম, ওমান।মাও. আবদুর রহীম, ওমান। মাও. আইয়ুব, ওমান। মাও. ইব্রাহীম খলিল, সৌদি আরব।

মাও.মিজানুর রহমান, পাকিস্তান। মাও. ইউনুস নোমানি, পাকিস্তান। মাও. আবদুল মান্নান, পাকিস্তান। মাও. নুরুল আলম, নোমানী, পাকিস্তান। মাও. নিজাম উদ্দীন, পাকিস্তান। মাও. আব্দুল কুদ্দুস, বাহরাইন। মাও.মুজিবুল হক ভূঁইয়া, সৌদি আরব। মাও. মোজম্মেল হক, সৌদি আরব। মাও. মাহমুদুল হাসান, সৌদিআরব। মাও. আব্দুল কাইয়ুম ভূঁইয়া, ইটালি। মাও. আব্দুল মান্নান, আবুধাবি। মাও. আব্দুল হাই, সৌদিআরব। এইচ এম শহীদ উল্লাহ সৌদি আরব। মাও. সাইফুল ইসলাম, আরব আমিরাত মাও. জুলফিকার আলি, আরব আমিরাত।

মাও. নেয়ামত উল্লাহ আশরাফী, আরব আমিরাত। মাও. জুবায়ের, আরব আমিরাত। মুফতি কামাল বিন সৈয়দ, আরব আমিরাত। মাও. মুবীনুল্লাহ,আরব আমিরাত। মাও. নুরুল্লাহ, আরব আমিরাত। হাফেজ আবুল খায়ের, আরব আমিরাত। মাও. মুহিব্বুল্লাহ আমিনী,আরব আমিরাত। মাও. কাছেম ওসমানী,আরব আমিরাত। মাও. ইব্রাহীম, সৌদি আরব। মাও.নজরুল ইসলাম। মাও. রুহুল আমিন, যুক্তরাষ্ট্র। মাও. মাজারুল ইসলাম, দক্ষিণ আফ্রিকা প্রমুখ।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ