ইয়াওমু আরাফাহ
শায়খ ডক্টর সাদ আল আতীক
প্রফেসর ইমাম মুহাম্মদ বিন সাউদ ইউনিভার্সিটি
অনুলিপি- মুহাম্মদ ইশরাক
আরাফার দিবস! আরাফার দিবস কী- এ সম্পর্কে জানেন কি?
এটি গৌরবের দিন। জাহান্নাম থেকে মুক্তির দিন। জন্মের দিনের মতো নিষ্পাপ হওয়ার দিন। অসাধারণ একটি দিন। উপমারহিত যাত্রার দিন।
যিনি হজে যাননি তার উদ্দেশ্যে আমি বলছি, সুসংবাদ গ্রহণ করুন - রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনাকে সম্মান ও সান্ত্বনা দিয়ে বলেছেন, আমি আশাবাদী যে আরাফার দিনে রোজা রাখবে। আগের ও সামনের মিলে দুই বছরের ছগিরা গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।
আর যিনি মিনাতে থাকতে আরাফার দিন অতিবাহিত হয়েছে। আপনার জন্য সান্ত্বনা হলো, আল্লাহ তায়ালা আপনার অন্তরের নেক নিয়ত সম্পর্কে অবগত রয়েছেন। আপনার অন্তরের হজ তো হয়েছে যদি হজের সাচ্চা নিয়ত করে থাকেন। কেননা আল্লাহ তায়ালা কখনো সামান্য আমলের জন্য বিরাট প্রতিদান দেন।
আল্লাহ তায়ালা আরাফার দৃশ্য নিয়ে আসমানের ফেরেশতাদের কাছে গর্ব প্রকাশ করেন। আজ কেউ হয়ত গুনাহর বিশাল বোঝা নিয়ে হাজির হয়েছে। আবার কেউ হয়ত পাপের সাগরে নিমজ্জিত হয়ে উপস্থিত হয়েছে। কিন্তু আল্লাহ তায়ালার রহমত সবকিছু পরিবেষ্টন করে। সুতরাং এদিনে গুনাহগাররা নেক বান্দায় রুপান্তর যায়।
আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে মাফ করে দিয়ে ফেরেশতাদের কাছে ফখর করবেন। মাফ করা ছাড়া আল্লাহ তায়ালা কেন-ই বা ফখর করবেন!
মাফ মানে তো বান্দার উপর রহমত করলেন। তাদেরকে মাগফেরাত দান করলেন। তাদের দোষ-কসুর পুশিদা রাখলেন। কারণ তিনি তো অসীম দয়াময় । চির মহান। চির সম্মানিত।
-এএ