আব্দুল্লাহ খান: কুরবানি মুসলিমদের এক আনন্দময় দিন। এ দিনে মুসলমানগন লক্ষ লক্ষ পশু জবাইয়ের মাধ্যমে আত্মত্যাগের পরিচয় দেন। পৃথিবীতে কুরবানীর ইতিহাস রচিত হয় হাবিল ও কাবিল নামীয় দুই ভাইয়ের মাধ্যমে। আল্লাহ তায়ালা হাবিলের উদারত্বের কারণে তার কুরবানীকে কবুল করেন আর কাবিলের ধৃষ্টতা ও কৃপনীয় আচরণের জন্য তার কুরবানীকে প্রত্যাখ্যান করেন। আমাদেরও এরকম মন মানষিকতার কারণে হাজারও কুরবানী প্রত্যাখাত হচ্ছে যা আমাদের অজানা।
আল্লাহর সন্তুষ্টি উদ্দেশ্যই হবে আমাদের সফলতার রাজপথ। ঈদুল আজহা বা কুরবানির দিনে উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য রয়েছে কিছু মজলুম সুন্নত! যা আমরা ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে গিয়ে ভুলে যাই।
ঈদের দিনের সুন্নতসমূহ
১. খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠা। ২. গোসল করা। ৩. মিসওয়াক করা। ৪. সামর্থ্য অনুযায়ী নতুন পোশাক পরিধান করা। ৫. আতর ব্যবহার করা। ৬. মহল্লার মসজিদে গিয়ে জামায়াতে ফজরের নামাজ আদায় করা। ৭. ঈদগাহে হেঁটে যাওয়া। ৮. ঈদুল আজহার দিন সকালে কিছু না খেয়ে ঈদগাহে যাওয়া।
৯. ঈদুল আজহার দিন পবিত্র কুরবানীর গোশত দিয়ে খাওয়া শুরু করা। ১০. ঈদগাহে এক রাস্তা দিয়ে যাওয়া এবং অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরে আসা। ১১. সকাল সকাল পবিত্র ঈদের নামাজ পড়ার জন্য যাওয়া। ১২. ঈদের নামাজ ঈদগাহে গিয়ে পড়া, সম্ভব না হলে মহল্লার মসজিদে গিয়ে ঈদের নামাজ পড়া।
১৩. নিম্নোক্ত দোয়া পড়তে পড়তে ঈদগাহে যাওয়া: الله اكبر الله اكبر لا اله الا الله والله اكبر الله اكبر ولله الحمد আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ। ১৪. শরীয়তের সীমার মধ্যে থেকে খুশি প্রকাশ করা।
(সূত্র: ফতওয়ায়ে শামি ১: ৫৫৬, ৫৫৭, ৫৫৮, হেদায়া ২: ৭১, বোখারী ১: ১৩০)
লেখক: শিক্ষার্থী, জামিয়া শারইয়্যাহ মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭
এমডব্লিউ/