মুফতি হুসাইন
আলেম ও গবেষক
১০ যিলহজ ফজর থেকে ১২ যিলহজ সুর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যদি কোন সুস্থ-মস্তিষ্ক, প্রাপ্তবয়স্ক, মুসলিম নর-নারী ঋনমুক্ত থাকা অবস্থায় প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক হয় তবে তার কোরবানি করা ওয়াজিব। -রদ্দুল মুহতার ৬/৩১২
মাসয়ালা: নাবালেগ ও পাগল নেসাবের মালিক হলেও তাদের উপর কোরবানি ওয়াজিব নয়। তবে তাদের অভিভাবক নিজ সম্পদ দ্বারা তাদের পক্ষে থেকে কোরবানি করলে তা সহীহ হবে। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬
মাসয়ালা: মুসাফিরের উপর কোরবানি ওয়াজিব নয়। মুসাফির দ্বারা উদ্দেশ্য হল যে ব্যক্তি কমপক্ষে ৪৮ মাইল সফরের নিয়তে নিজ এলাকা ত্যাগ করেছে। -আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৫
মাসয়ালা: কোরবানি ওয়াজিব হওয়ার জন্য কোরবানির তিন দিনই মুকীম থাকা জরুরী নয়। বরং কেউ যদি এই ৩ দিনের শুরুতে মুসাফির থাকে এবং শেষের দিকে মুকীম হয়ে যায় তবে নেসাবের মালিক হলে তার উপরে কোরবানি ওয়াজিব হবে। তবে কেউ যদি এই ৩দিনের শুরুতে মুকীম থাকে এবং শেষের দিকে মুসাফির হয়ে যায় তাহলে তার উপরে কোরবানি ওয়াজিব হবে না। বাদায়েউস সানায়ে -৪/১৯৫
মাসয়ালা: কোরবানি শুধু নিজের পক্ষ থেকে ওয়াজিব হয়। মাতা পিতা সন্তানাদি ও স্ত্রীর পক্ষ থেকে করলে তা নফল হবে । রদ্দুল মুহতার -৬/৩১৬
মাসয়ালা: গরীব ব্যক্তির উপর কোরবানি করা ওয়াজিব নয়। তবে সে কোরবানির নিয়তে কোন পশু ক্রয় করলে সেই পশু কুরবানী করা তার উপর ওয়াজিব হয়ে যায়। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯২
মাসয়ালা: যে সকল হাজী মক্কা,মিনা ও মুযদালেফা মিলে কুরবানীর সময় ১৫ দিন থাকবে তারা মুকীম। নেসাবের মালিক হলে হজ্বের কুরবানী ব্যতীত তাদের উপর ঈদুল আযহার কোরবানিও ওয়াজিব। আর যারা মুসাফির থাকবেন তাদের উপর কোরবানি ওয়াজিব নয়। (ফাতাওয়া হিন্দীয়া ৫/২৯৩)
-এএ