শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


যষ্টিমধুর উপকারিতা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: যষ্টিমধু আসলে গাছের শিকড়। যা আয়ুর্বেদীয় ওষুধ তৈরির অন্যতম উপাদান হিসেবে বহু বছর ধরে ব্যবহার হচ্ছে। এর রয়েছে অনেক উপকারিতা।

যষ্টিমধু বহুবর্ষজীবী গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। এর কাণ্ড বহু শাখাবিশিষ্ট, তিন-চার ফুট লম্বা, সরল ও নরম হয়ে থাকে। এর পাতা দণ্ডের উভয় দিকে সমান্তরালভাবে বিন্যস্ত এবং দণ্ডের অগ্রভাগে একটি পাতা থাকে।

যষ্টিমধুর প্রধান কার্যকর রাসায়নিক উপাদানটি হলো- ট্রাইতারপিনয়েড স্যাপোনিন গ্লিসাইরিজিন (গ্লিসাইরিজিনিক অ্যাসিডের পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়াম লবণের মিশ্রণ)। এ ছাড়াও এতে রয়েছে গ্লাবরানিন-এ ও বি, গ্লিসাইরেটল, গ্ল্যাবরোলাইড, আইসোগ্ল্যারোলাইড নামে ট্রাইতারপিনয়েড স্যাপেনিন; ফরমোনোনেটিন, গ্ল্যাবরোন, নিওলিকুইরিটিন, হিসপা-গ্ল্যাবরিডিন এ ও বি নামে আইসোফাবন; হারনিয়ারিন, আম্বিলিফেরন নামক কৌমারিন এবং আনোসেরিন, এমাইরিন, স্টিগমাস্টেরল নামক ট্রাইতারপিন স্টেরল ইত্যাদি।

নিয়মিত যষ্টিমধু খাওয়ার উপকারিতা এবং এর মাধ্যমে যেসব রোগ এড়ানো যায়-

কাশি কমায়: যষ্টিমধু তরল আকারে কফ বের করে দেয় এবং কাশি ভালো করতে সাহায্য করে। এছাড়া ব্রঙ্কাইটিস, টনসিলাইটিস ও কণ্ঠনালীর প্রদাহ দূর করতেও সাহায্য করে।

টিউমার প্রতিরোধক: যষ্টিমধুতে থাকা গ্লাইসিরাইটিনিক অ্যাসিড টিউমার সৃষ্টিকারী ‘এপস্টাইন বার ভাইরাস’ কার্যকারিতা প্রতিহত করে।

অ্যালার্জি প্রতিরোধক: যষ্টিমধুর গ্লাইসিরাইজিক অ্যাসিড মাস্টকোষ হতে হিস্টামিন নিঃসরণ কমিয়ে অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে।

অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে যষ্টিমধু: গ্লাইসিরাইজিন বিভিন্ন কঠিন রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাস বৃদ্ধি ও বংশ বিস্তার রোধ করে। এছাড়াও যষ্টিমধু রোগ সৃষ্টিকারী বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া এবং বিভিন্ন ছত্রাক প্রতিরোধ করতে পারে।

লিভার সুরক্ষায়: যষ্টিমধুর গ্লাইসিরাইজিন বিষাক্ত পদার্থের কবল থেকে লিভারকোষ সমূহ সুরক্ষা করে।

এছাড়াও যষ্টিমধু মুখের দুর্গন্ধ দূর করে। দুধের সঙ্গে যষ্টিমধুর গুঁড়া মিশিয়ে পান করলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে। এমনকি ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ করতে যষ্টিমধুর সঙ্গে ঘি মিশ্রিত ব্যবহার বেশ কার্যকর। যা আপনার ত্বকের বলিরেখা, ব্রণ ও দাগ দূর করে তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করবে।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ