আওয়ার ইসলাম: প্রতি বছর রহমত, মাগফিরাত ও মুক্তির সুমহান বার্তা নিয়ে মুসলিম উম্মাহর মাঝে আগমন করে রমজান মাস। প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম নর-নারীর জন্যই পবিত্র রমজানের পুরো মাস সিয়াম পালন করা ফরজ। মাহে রমজানের মর্যাদাকে কাজে লাগিয়ে কদর রাত প্রাপ্তির সুনিশ্চিত প্রত্যাশায় সর্বোপরি মহান আল্লাহর একান্ত সান্নিধ্য লাভের জন্য রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফকে সুন্নাত করা হয়েছে।
রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফ সুন্নতে মুআক্কদায়ে কিফায়া। তথা পুরো এলাকার উপর সুন্নত। তবে একজন ব্যক্তিও তা আদায় করলে আদায় হয়ে যাবে। শেষ দশকের ইতিকাফে বসতে হলে বিশে রমজানের সূর্য অস্ত যাবার আগেই মসজিদে প্রবেশ করতে হবে। আসুন এ পবিত্র বিধানের ১০ টি উপকার সম্পর্কে জেনে নেই।
ইতিকাফের ১০ উপকারিতা -
১. ইতিকাফ আদায়কারী ব্যক্তির জন্য শবে কদর তালাশ এবং সেই কাঙ্ক্ষিত রাত পাওয়া সহজতর হয়ে যায়৷
২. তাহাজ্জুদ ও রাত্রিজাগরণে এবং কুরআন তেলাওয়াতের অভ্যাস গড়ে ওঠে৷
৩. মসজিদের সাথে ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব সৃষ্টি হয় এবং ইতেকাফকারী ব্যক্তির অন্তর মসজিদের সাথে লেগে থাকে৷ যা হাশরের ময়দানে আরশের ছায়া পাওয়ার মাধ্যম হবে৷
৪. অন্তর দুনিয়া থেকে বিমুখতা এবং আল্লাহ তাআলার প্রতি ধাপিত হয়৷ আল্লাহর জিকিরের সৌভাগ্য নসিব হয়৷
৫. নির্জনতা ও একাগ্রতার সুবর্ণ সুযোগ পাওয়া যায় যাতে নিজের গোনাহের অনুতপ্ততা স্বীকার করে তওবা করার এক সুযোগ হয়ে ওঠে৷ অশ্রু প্রবাহিত করার এক মুহূর্ত সুযোগ মিলে৷
৬. ইতিকাফকারী ব্যক্তি অনর্থক কথাবার্তা, মনের কুপ্রবৃত্তি ও বিভিন্ন গোনাহ থেকে বেঁচে থাকে৷
৭. দুনিয়ার বৈধ কাজসমূহ এবং মনপ্রেয়সি কাজ-কর্মগুলো ছেড়ে দেওয়ার কারণে দুনিয়ার প্রতি অনুৎসাহিত হয়ে ওঠে৷
৮. ইতিকাফকারী ব্যক্তির অন্তরের পরিশুদ্ধতা ও আখেরাতের প্রতি সুচিন্তা উদয় হয়৷
৯. সুন্নত মনে করে ইতেকাফকারী ব্যক্তির ইতেকাফ করার দ্বারা সুন্নাতের প্রতি মুহাব্বাত ও ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভালোবাসার জযবা ও প্রেরণা সৃষ্টি হয়৷
১০. জীবন পরিবর্তন সাধনে এবং তাকে শরিয়তের ধাচে সাজানোর তরে মনের ভেতরে শান্তির ফোয়ারা জারি হয়৷
-এটি