আওয়ার ইসলাম: করোনা সংক্রমণকে কেন্দ্র করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের বেশ কিছু বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ এ পর্যন্ত শতাধিক লোককে আটক করেছে বলে জানা যাচ্ছে।
জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের হুগলীর জেলায় কোভিড-১৯ পরীক্ষা এবং লোকজনকে কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে এই সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় সম্প্রদায়ের লোকদের দোকানপাট, বাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও বোমাবাজির মতো ঘটনাও ঘটেছে।
বিবিসি বলছে, গত রোববার বিষয়টি নিয়ে প্রথম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে ফের নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এখনও পর্যন্ত মোট ১১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের পরীক্ষার জন্য কয়েকদিন আগে হুগলির তেলেনিপাড়া এলাকায় একটি শিবির করা হয়েছিল। পরীক্ষায় প্রথমে একজন মুসলিমের কোভিড-১৯ ধরা পড়ে। পরে আরো কয়েকজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। কিন্তু শনাক্ত হওয়া সবাই মুসলিম। এ থেকেই মূলত শুরু হয় নানা মন্তব্য এবং তা থেকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বিবিসিকে বলেন, টেস্ট শিবিরটাই ছিল মুসলিম প্রধান এলাকায়। সে কারণে মুসলিমদের মধ্যে করোনা পজিটিভ বেশি। কিন্তু সেটা নিয়ে হিন্দুদের একাংশ মুসলমানবিরোধী প্রপাগান্ডা ছড়াতে থাকে। মুসলমানরা করোনা ছড়াচ্ছে বলে নানাভাবে উস্কানি ছড়াতে থাকে।
এ ব্যাপারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে দুই পক্ষেরই ঘরবাড়ি ও দোকানপাটে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
উদ্ভূত ঘটনায় পরিস্থিতি যাতে অবনতির দিকে যেতে না পারে, কেউ যাতে গুজব ছড়িয়ে পরিস্থিতি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত না করতে পারে সেজন্য ওই অঞ্চলের ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
-এটি