আওয়ার ইসলাম: ইসলাম ধর্ম মতে খেজুর দিয়ে ইফতার করা মুস্তাহাব। চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে খালি পেটে যে কোন মিষ্টি জাতীয় খাদ্য খাওয়া পাকস্থলীর জন্য উপকারী। খেজুর স্বাস্থ্যসম্মত পুষ্টিকর খাবার। খেজুরের যেমন আছে পুষ্টিমান তেমনি আছে এর ঔষধিগুণ। হাদিসেও রয়েছে খেজুর দিয়ে ইফতার করার নির্দেশ। হজরত সালমান ইবনে আমির থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবি সা. বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ ইফতার করে সে যেন খেজুর দ্বারা ইফতার করে। কেননা, তাতে বরকত [কল্যাণ] রয়েছে। তিরমিজি, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, দারিমি, মেশকাত: ১৮৯৩
খেজুরের উপকারিতা অনেক। শুধু রোজার ইফতারে নয়, সারাবছরই খেজুর থাকতে পারে খাদ্যতালিকায়। প্রথমত হাদিসের অনুসরণে খেজুর দিয়ে ইফতার করা উচিত। দ্বিতীয়ত খেজুরের ভেষজগুণকেও উপেক্ষা করা যায় না বলে খেজুর হতে পারে ইফতারের প্রধান উপাদান। খেজুর দিয়ে ইফতার শুরু করা রোজাদারের জন্য খুব উপকারী। জেনে নিই খেজুর দিয়ে ইফতার করার কিছু উপকারিতা।
১. ২-৪টি খেজুর খেলেই সাময়িকভাবে ক্ষুধা নিবারণ হয়ে যায়।
২. খেজুরে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি থাকে বিধায় যারা একটু দুর্র্বল স্বাস্থ্যের অধিকারী, সামান্য পরিশ্রমে হয়রান হয়ে যায় ইফতারে খেজুর খেলে তাদের দুর্বলতা কেটে যায় এবং রোজা রাখা সহজ হয়।
৩. শিশুর প্রয়োজনীয় পুষ্টির জন্য মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে খেজুর কার্যকর ভূমিকা পালন করে।ফলে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো-মায়েরা স্বাভাবিকভাবে সিয়াম সাধনায় রত থাকা সহজ হয়।
৪. খেজুর হৃদরোগ, জ্বর ও পেটের পীড়ায় উপকারী এবং বলবর্ধক ঔষধ হিসেবে কাজ করে। রোজাদারের ক্ষুধামন্দা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূরকরণে খেজুর বিশেষ উপকারী।
৫. খেজুর পেটের গ্যাস, শ্লেষ্মা, কফ দূর করে, শুষ্ক কাশি এবং এজমায় উপকারী। পেটের গ্যাস সমস্যার কারণে অনেকের রোজা রাখা কষ্ট হয়, ইফতারে খেজুর খেলে গ্যাস সমস্যা থেকে বেঁচে থাকা যায়।
৬. সারাদিন রোজা রাখার পর পেট খালি থাকে বলে শরীরে গ্লুকোজের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। খেজুর সেটা দ্রুত পূরণে সাহায্য করে।
-এটি