শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


করোনাকালে সীমিত মসজিদে গমনাগমন; পুরুষরা ইতিকাফ করবেন কোথায়?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ওমর ফারুক
বিশেষ প্রতিবেদক>

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ব্যাপকভাবে মসজিদে গমনাগমনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জারীকৃত আদেশ এখনো বহাল রয়েছে। এর মধ্যে আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছে মাহে রমজান।

দিনের বেলায় রোজা ও রাতের বেলায় তারাবি ছাড়াও এ মাসে শেষ দশ দিনের একটি বিশেষ আমল ইতিকাফ। যেখানে মুসল্লীরা সারাদিন মসজিদে উপস্থিত থাকা অত্যাবশকীয়। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে মুসল্লীরা কিভাবে ইতিকাফে বসবেন, বসতে পারবেন কিনা -এ নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা কাটেনি।

আলেমরা দাবি তুলেছেন অন্তত একজনকে এতেকাফে বসার অনুমতি দেওয়া হোক। তারা বলছেন যেহেতু এতেকাফকারী মসজিদে অবস্থান করবে, জনসমাগমে যাবেনা, সুতরাং সংক্রমণের ভয় নেই। তাই মসজিদে অন্তত একজনকে বসার সুযোগ দেওয়া যায়।

ইতিকাফের হুকুম কী?

মুফতি শামসুদ্দিন জিয়ামুফতি রফিকুল ইসলাম সরদার বলেন, ইতেকাফ সুন্নতে মুয়াক্কাদা কেফায়া। অর্থাৎ এমন সুন্নত, যা কিছু মানুষ আদায় করলে সকলের পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে ইতিকাফ কি করতেই হবে?

মুফতি শামসুদ্দিন জিয়া মনে করেন, এমন কঠিন পরিস্থিতিতে ইতিকাফে না বসলে গুনাগার হবেন না। কিন্তু একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত ছুটে যাচ্ছে। এজন্য ভিন্ন কোন পদ্ধতি বের করা যেতে পারে।

ভিন্ন পদ্ধতি কেমন হবে এমন প্রশ্নের জবাবে মুফতি শামসুদ্দিন জিয়া বলেন, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ইবাদত সাদৃশ্য রূপে আমরা করে থাকি। যেমন বিভিন্ন বাঁধার কারণে তাশাববুহ বিস সালাত পড়ি। এর মাধ্যমে কিন্তু ফরজ আদায় হয়ে যায় না। কিন্তু অপারগতা বশত এমনটি করতে আমরা বাধ্য হই।

ঠিক তেমনি ভাবে এমন পরিস্থিতিতে আমরা প্রত্যেকেই ঘরে এতেকাফ করতে পারি। যেহেতু মসজিদে এতেকাফ করার কোন সুযোগ নেই।

পুরুষের জন্য মসজিদেই এতেকাফ করতে হবে?

মুফতি রফিকুল ইসলাম সরদার বলেন, পুরুষের জন্য মসজিদ ছাড়া এতেকাফ সহীহ হবে না। পুরুষকে অবশ্যই মসজিদে এসে এতেকাফ করতে হবে। শুধুমাত্র মহিলারা নিজ নিজ ঘরে যেখানে সাধারন তো নামাজ আদায় করেন, এমন স্থানে এতেকাফ করতে পারবেন। এটা মহিলাদের জন্য। পুরুষদের জন্য মসজিদ শর্ত।

কিন্তু বর্তমানে যেহেতু পুরুষের মসজিদে যাওয়ার অনুমতি নেই তাই অপারগতার কারণে ঘরে এতেকাফ করতে পারবেন।

সরকারের উচিত অন্তত একজনকে এতেকাফে বসতে দেয়া!

মুফতি শামসুদ্দিন জিয়া মনে করেন, স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রতিটি মসজিদে একজন করে এতেকাফে বসার অনুমতি প্রদান করতে পারেন সরকার। এতেকাফ কারীগণ মসজিদ থেকে বের হন না। তাদেরকে মসজিদে অবস্থান করতে হয়।

সুতরাং এতে সংক্রমণের ঝুঁকি নেই। তাই আমরা দাবি করব, প্রতিটি মসজিদে অন্তত একজন করে এতেকাফে বসার অনুমতি প্রদান করা হোক।

ওআই/আবদুল্লাহ তামিম


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ