মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী ।।
১. ফজরের নামাজ ওয়াক্ত মতো পড়ে সারাদিন আল্লাহর জিম্মায় থাকা।
২.আয়াতুল কুরসী সকাল সন্ধ্যা পড়া ।
৩.সুরা ফাতিহা ও চার কুল ।
৪. বালা মুসিবত এবং রোগবালাই থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মসনূন দোয়া ও দান সদকা করা ।
৫.জুমায় তওবা ইস্তেগফারের গুরুত্ব, পাঁচ সাতটি বাক্যের খুতবা,ছোটো সুরার নামাজ ও অতি সংক্ষিপ্ত দোয়া। অন্য দিনের সব নামাজও শুধু ফরজটুকু মসজিদে পড়ে বাকি নামাজ ঘরে পড়া। মহামারীতে মৃত্যু হলেও শহীদী মর্যাদার জন্য দোয়া করা।
৬. আপাতত মুসাফা ও সাক্ষাৎ বর্জন করা।পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, সব সুন্নত, ইচ্ছেমতো নফল নামাজ ও জরুরী অধ্যয়নে সময় কাটিয়ে দেওয়া। মৃত্যু এলে হাসিমুখে চলে যাওয়া।
৭. বান্দার হক দিয়ে দেওয়া, কারো হক নষ্ট করে থাকলে তা দ্রুত আদায় করে ফেলা, সম্ভব না হলে যে কোনো ক্ষতিপূরণ, ক্ষমা প্রার্থনা কিংবা অন্য কোনো উপায়ে বান্দাকে খুশী করা।
৮. নিজেকে সব মানুষ হতে আলাদা রাখা এবং মানুষকেও আলাদা ও দূরে থাকতে দেওয়া।
৯. সবসময় ওজু অবস্থায় থাকা ।
১০. ছোটো বড় সব গুনাহ বর্জন করা। অসহায়ের খোঁজ খবর রাখা এবং যথাসাধ্য তার সহায়তা করা।
১১. ইশার নামাজ পড়ে সারারাত আল্লাহর দায়িত্বে থাকা। মৃত্যু এলে হাসিমুখে চলে যাওয়া।
১২. সারাক্ষণ আল্লাহর জিকির, তিলাওয়াত ও আখিরাতের ফিকিরে থাকা। খাতিমাহ বিল খায়রের জন্য দোয়া করা।
১৩.আগে আগে ঘুমিয়ে শেষরাতে খুব সুন্দর করে ৮/৬/৪ অথবা ২ রাকাত তাহাজ্জুদ পড়া।
১৪.খুব আবেগ ও মহব্বত নিয়ে মৃত্যুর মোরাকাবা আর রোনাজারি করা।
১৫. অধিক পরিমাণে দুরূদ ও সালাম।
১৬. দুনিয়ার মহব্বত ও উলামায়ে সু' দলের সঙ্গ থেকে আল্লাহর আশ্রয় চাওয়া।
১৭.আসন্নকালে জিহাদে শরীক হওয়ার প্রত্যাশা অন্তরে লালন করা। যথাসাধ্য ভালো কাজের আদেশ ও মন্দ কাজ প্রতিরোধ করতে থাকা।
১৮.ইমাম মাহদীর সৈনিক হিসেবে তার সাথে যোগদানের তামান্না দিলে পোষণ ও খাসভাবে দোয়া করা।
১৯. দাজ্জালসহ শেষ জামানার সকল ফিতনা তথা জীবনে মরণে প্রতিটি ফিতনা থেকে আল্লাহর নিকট পানাহ চাওয়া।
২০. নবী রাসূল ইমাম উলামা মাশায়েখ উস্তাদ মুরব্বি পিতামাতা আত্মীয় পরিজন পাড়াপ্রতিবেশীসহ সকল জীবিত ও মৃত ঈমানদার নারী পুরুষের জন্য সওয়াব রেসানী এবং দোয়া করা।
আরএম/